ঢাকা বুধবার, ৯ই জুলাই ২০২৫, ২৫শে আষাঢ় ১৪৩২


আশ্রয়ণ প্রকল্পে সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতি পেলেন প্রধানমন্ত্রী


১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:০৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত ও বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্পকে সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। ‘আশ্রয়ণ: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’ নামে সৃজনশীল মেধাকর্ম হিসেবে এর স্বত্বাধিকার দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস গত ১০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত সনদ দেয়। এতে সৃজনশীল কর্মের প্রণেতা (স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’ এবং সৃজনশীল কর্মের স্বত্বাধিকারী (স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’ নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জীবন মানের উন্নয়ন। আশ্রয়ের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’

মুখ্যসচিব বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বর্তমান সরকারপ্রধান ২৮ লাখ মানুষকে পুনর্বাসিত করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নানাবিধ উদ্যোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণে আশ্রয় পেয়েছেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে দেশের জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন। তাদের জীবনমানের ক্ষেত্রে আমল পরিবর্তন এসেছে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পেশাগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, পুষ্টিসহ সবক্ষেত্রে আশ্রয়ণের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয়ণ শুধু একটি ঘর নয়। মানুষ যেমন মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন, তেমনি স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে, স্যানিটেশন পাচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ, সুপ্রিয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সর্বশেষ দারিদ্র্য জনসংখ্যার পরিমাণটা কমেছে তার জন্য আশ্রয়ণের বিশাল একটা ভূমিকা আছে।

তিনি জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধীদলে ছিলেন তখন থেকে তিনি মানুষের বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে বলেছেন, আশ্রয়ণ নিয়ে তার যে ধারণা, এ ধারণা কিন্তু টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আটটি লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একটি ঘর দেওয়ার ফলে যাদের বসতি আছে তাদের জীবিকা হচ্ছে। নারীর জন্য জমির মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে। ঘরের মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এ ধারণাটি আমাদের একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আইকে