কে এই মামুনুল হক?

সারাদেশে এখন আলোচিত একটি নাম মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব। ২০১৩ সালের একটি মামলায় রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি মোদির বাংলাদেশ সফর বন্ধ করতে চারটি জেলায় তান্ডবসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামুনুলের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল বলে জানায় হেফাজতে ইসলাম।
১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন মামুনুল হক। তার পিতার নাম আজিজুল হক। তিনি একজন ইসলামি পণ্ডিত ও সহিহ বুখারির প্রথম বাংলা অনুবাদক। ১৩ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ মামুনুল হক।
বাবা আজিজুল হকের কাছে লেখাপড়া শুরু করেন মামুনুল হক। ১৯৮৫ সালে ১২ বছর বয়সে তিনি লালবাগ চানতারা জামে মসজিদ মাদ্রাসায় কুরআনের হেফজ (মুখস্থ) শেষ করেন। ১৯৮৬ সালে ভর্তি হন ঢাকার জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর স্নাতক এবং দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পাশাপাশি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।
এরপর পাঁচ বছর সিরাজগঞ্জ জামিয়া নিজামিয়া বেথুয়া মাদ্রাসা এবং দুই বছর মিরপুর জামিউল উলুমে শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সাল থেকে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ায় ‘শায়খুল হাদিস’ হিসেবে দায়িত্বরত।
২০১৫ সালে তিনি মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া নামে একটি উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। আর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের খতিব।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবরে তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হন। ২৬ ডিসেম্বর হেফাজতের এক সভায় তাকে ঢাকা মহানগরীর মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজত আন্দোলনে নেতৃত্বের জন্য ১২ মে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এসময় তিনি ‘কারাগার থেকে বলছি’ নামক একটি বই রচনা করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের দু’দিন আগে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ ছিল।