ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫, ৮ই শ্রাবণ ১৪৩২


কোনও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানো যাবে না: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়


১৩ মে ২০২০ ০২:৩৯

দেশের সকল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি এ ভাইরাসের আক্রান্ত নয় এমন রোগীদেরও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনটি জোড়ালো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, কোনও হাসপাতাল থেকে কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেয়া যাবে না।

মঙ্গলবার (১২ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল সোমবার চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনাসমূহ:
* সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকসমূহে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

* চিকিৎসা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জরুরি চিকিৎসার জন্য আসা কোনো রোগীকে ফেরত দেয়া যাবে না। রেফার করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘কোভিড হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের’ সাথে যোগাযোগ করে রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে রেফার করতে হবে।

* দীর্ঘদিন ধরে যেসকল রোগী কিডনি ডায়ালিসিসসহ বিভিন্ন চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা কোভিড আক্রান্ত না হয়ে থাকলে-তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।

দেশের কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে উল্লিখিত নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধান অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর সংবাদ আসে ১৮ মার্চ। এরপর মার্চ মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু নাগালের মধ্যে থাকলেও এপ্রিলের শুরু থেকেই বিশেষত এপ্রিলের মাঝামাঝির পর থেকে ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে সংক্রমণ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৯ জন। দেশে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬ হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন। এ নিয়ে মোট ৩ হাজার ১৪৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মারা গেছেন আরও ১১ জন। ফলে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫০ জনে। যে ১১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা।