ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত, জরিমানা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব অভিযানে বিভিন্ন স্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
সোমবার (১১ মে) আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হাকিমের নেতৃত্বে উত্তরা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পল্লবী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মহাখালী, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৪) সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে শেওড়াপাড়া, কাফরুল ও শ্যামলীতে; নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুরশিদুল ইসলাম কল্যাণপুর এলাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে বসিলা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৬) সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে আশকোনা এলাকায় পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হাকিম উত্তরা ৩ ও ৫ নম্বর সেক্টরে মোট ১০টি বাড়ি, ভবন ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে তিনটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির মশককর্মীরা সেখানে কীটনাশক প্রয়োগ করে মশার লার্ভা ধ্বংস করেন। কয়েকটি বাড়িতে জমে থাকা পানি ও ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেলে সেগুলো পরিষ্কারের জন্য ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজম মিরপুরের পল্লবী এলাকায় ২৫টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। দুইটিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম মহাখালী এলাকায় মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া এডিস মশার বংশবিস্তার সম্পর্কে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ শেওড়াপাড়া, কাফরুল ও শ্যামলী এলাকার প্রায় ২৫টি বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। তবে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুরশিদুল ইসলাম কল্যাণপুরে বাড়ি, ভবন ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের এডিস মশা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সচেতন করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বসিলার কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবনে পানি ও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেন। তবে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো পরিষ্কার ও মশার কীটনাশক ছিটানো এবং ভবন মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে ২০টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। কয়েকটি বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকলেও কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। পানি অপসারণ করে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিও অপসারণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে আশকোনা এলাকার দুইটি বাড়ির মালিককে দুই হাজার টাকা করে মোট চার হাজার টাকা জরিমানা করেন। এলাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতনও করা হয়।
অভিযান চলাকালে সাংবাদিক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সময়/এআর