‘তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্সের সক্রিয়তা জরুরি’
-2020-05-02-19-12-42.jpg)
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির সক্রিয়তা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডব্লিউবিবি)।
শনিবার (২ মে) দুপুরে ‘স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে (ওয়েবিনার) বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
সেমিনারে অতিথি ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (যুগ্মসচিব) খায়রুল আলম সেখ। আলোচনা করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ। ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সঞ্চালনায় প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান সেমিনারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ সেমিনারে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো অন্য সময়ের তুলনায় আরো আগ্রাসী রুপ ধারণ করছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে জোটভুক্ত সংগঠনসহ জোটের বাইরে অন্যান্য সংগঠনগুলোকে আরো সক্রিয় হতে হবে। এনটিসিসি’র সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ও সহায়তা এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (যুগ্মসচিব) খায়রুল আলম সেখ বলেন, সারাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, কমিটির সভা আয়োজন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনা ও সহায়তা, তামাক বিরোধী প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো হচ্ছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ জোরদার হয়েছে। এ কাজগুলো অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নাটক/সিনেমায় ধূমপান বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়, চলচ্চিত্র পরিচালক/প্রযোজক সমিতির সঙ্গে কাজ করছে এনটিসিসি। এক্ষেত্রে তামাক বিরোধী জোটের সদস্যদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মাঠ পর্যায় থেকে এনটিসিসিকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটিগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। তামাক কোম্পানি কিভাবে আইন ভঙ্গ করছে তা অভিযোগ আকারে টাস্কফোর্স কমিটিতে তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যম, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড থেকে বিজ্ঞাপন সরাতে পারলে আমরা বিক্রয় কেন্দ্রগুলোকেও তামাকপণ্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত করতে পারবো।’
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে সারাদেশের তামাক বিরোধী জোটভুক্ত ৪৮টি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সেমিনারে তামাক নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইন লঙ্ঘনকারী কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা, টাস্কফোর্স কমিটির সভা নিয়মিতকরণ, করোনা পরিস্থিতিতে তামাক কোম্পানি খোলা রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিলে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
নতুন সময়/এআর