ঢাকা সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫, ৬ই শ্রাবণ ১৪৩২


সরকার মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই রক্ষা করছে : তথ্যমন্ত্রী


২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৪১

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি মাস হলো দেশের সমস্ত কর্মকান্ড বন্ধ। এরপরও বাংলাদেশে একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। এটিই হচ্ছে সরকারের সফলতা। সরকার মানুষের জীবন যেমন রক্ষা করছে, তেমনি জীবিকাও রক্ষা করছে।

বৃহ¯পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কোভিড-১৯ সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ ও অন্যান্য বিষয় সমন্বয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এর আগে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রশাসনের সাথে চট্টগ্রামের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং কোভিট-১৯ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে বর্তমানে ১৭ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। ইতিমধ্যে ১ লাখ টন খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো ৬ লাখ টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পঞ্চাশ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বছরের সাত মাস বিতরণ করে আসছে।

এ ধরণের আরো পঞ্চাশ লাখ কার্ড করার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ এক কোটি কার্ডধারী মানে পাঁচ কোটি মানুষ।

তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে সরকারিভাবে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এর বাইরে বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা এবং সরকারের ১৪৪টি কর্মসূচির মাধ্যমে আরো এক কোটি মানুষ সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার সাথে সাথেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যে কারণে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি আল্লাহর রহমতে এখনো অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। তাই বলে সরকার বসে নেই। ভবিষ্যতে যে কোনো পরিস্থিতি হতে পারে সেজন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত দেশে নাজুক পরিস্থিতি হয়েছে, সেরকম হলে আমাদের কী করতে হবে সেটি নিয়েও আমরা নানা প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই সমন্বয় সভা করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আজকের সমন্বয় সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি ঢাকা অঞ্চলের চেয়ে অনেক ভালো আছে। আমরা যাতে এই পরিস্থিতি রক্ষা করে যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে সুস্থ করে তুলতে পারি সেই জন্য কীভাবে করোনা রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া যায়, ভবিষ্যতে আরো রোগী বাড়লে কীভাবে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে এবং যারা ভালো আছেন তাদের কীভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া যায় সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।