ঢাকা শনিবার, ৫ই জুলাই ২০২৫, ২২শে আষাঢ় ১৪৩২


কলিং ভিসা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন ঢাকায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলাসেকারান


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৯

ফাইল ছবি

বহুপ্রতীক্ষিত বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা উম্মুক্ত করন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান। শ্রমবাজার ইস্যুতে কয়েকটি বৈঠকে অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার বিমানবন্দরে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব যাহিদ হোসেন ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান কুলাসেগারান কে।

জানা গেছে, আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করবেন তিনি। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন মালয়েশিয়ার মন্ত্রী।

এরপর ওইদিন দুপুরেই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে বৈঠক করবেন এম কুলাসেগারান।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ সচিব সেলিম রেজা সাংবাদিকদের জানান, এবার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সফরের খবরে আশাবাদি তাঁরা। শ্রমবাজারের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হবে বলেও আশা করছেন তিনি। বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সব প্রস্তুতি রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলা সেগারান এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ ও মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। কারণ এই সফরটি কে সকল শ্রেণীর মানুষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।

গতকাল ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলা সেগারান। শ্রমবাজার বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। খবরটি মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। এদিকে এই মন্ত্রীর কাছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশীদের বৈধতার সুযোগ চান।
তাদের কে বৈধতার সুযোগ দেয়ার জন্য প্রস্তাব রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন ও অনুরোধ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী অভিবাসীগণ।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন লেখার মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশ প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এর প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।