‘প্রধানমন্ত্রী, ফেসবুক বন্ধ রাখুন, কেউ কিন্তু পড়ছে না’

জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এ সময়, সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের পর বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় রওশন এরশাদ একাধারে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতসহ কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন ইস্যু ও সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রোশন এরশাদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজন আছে তবে, এর ক্ষতিকর দিকও ঠেকাতে হবে। আজ আপনি দেখেন, এখনকার যুবসম্প্রদায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকের চেহারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চোখ নিচে কালো হয়ে গেছে অনেকের। কেননা, এরা সারারাত ফেসবুক ব্যবহার করে। তাদের শরীর পর্যন্ত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক টা রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা উচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কেউ কিন্তু পড়াশোনা করছে না। ইয়ং জেনারেশন যদি সুস্থই না থাকে তাহলে উন্নয়ন কে ভোগ করবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংসদে অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত বা সমকক্ষ হবে বাংলাদেশ। নির্দিষ্ট কোন কোন ক্ষেত্রে তা হবে সেটিও স্পষ্ট করতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। ব্যাংকে টাকা নেই, ঋণখেলাপিরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে, শেয়ার বাজারে ধস- কিভাবে দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে? তার ব্যাখা চাই আ.হ.ম. মুস্তফা কামালের কাছে।’ শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছে না উল্লেখ করে রওশন এরশাদ অভিযোগ করেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বদলে গেলে যদি শিক্ষা পদ্ধতিও বদলে যায়, তাহলে তো শিক্ষাক্রমে অরাজকতা তৈরি হবে। ওহ্ আর একটা কথা, শিক্ষামন্ত্রী কেন সংসদে উপস্থিত থাকেন না? উনি কেন বেশিরভাগই অনুপস্থিত থাকেন? উনাকে সামনে পেলে বলতাম- নজর এখন জিপিএ ফাইভের হার বাড়ানোর দিকে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কেন জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছে না?’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াসার পানির পানির অবস্থা এতো খারাপ কেন? মাননীয় স্পিকার, আপনি ওয়াসার পানি খাওয়া তো দূরে থাক, সেটি দিয়ে গোসলও করবেন না। নিরাপদ খাদ্য যেমন নিশ্চিত হয় নি। তেমনি মানুষ বিশুদ্ধ পানিও পান করতে পারছেন না।’