বুয়েটে নির্যাতন ও র্যাগিং বন্ধে সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার শপথ

বুয়েটের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন, গণশপথের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে । তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতন ও র্যাগিং বন্ধে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নেয়ারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের তৎপরতায় ‘সদিচ্ছা’ দেখে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের ইতি টানার কথা জানালেও আবরারের খুনিরা বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের ধরনে তাঁরা পরিবর্তন আনেন। তাঁরা জানান, দিনভর স্লোগান-বিক্ষোভের মতো মাঠের প্রতিবাদী কর্মসূচিতে আপাতত আর যাচ্ছেন না তাঁরা। তবে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম আসবে, তাঁদের সবাইকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের একাডেমিক (ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম) কার্যক্রমে অংশ নেবেন না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাঠের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটবে গণশপথ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে।
একইসঙ্গে মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রমে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অবরারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে স্বোচ্চার থাকার কথাও বলেন তারা।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর থেকেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষার কারণে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার বুয়েট ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি শিথিলের পর অবশ্য গতকাল কোনো মিছিল-সমাবেশ হয়নি। বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে দাবি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ও আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা তিনটার দিকে বুয়েটের ভারপ্রাপ্ত ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল বাসিতের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। পরে আবারও নিজেদের মধ্যে আলোচনা শেষে বুয়েট শহীদ মিনারে নিজেদের অবস্থান জানান শিক্ষার্থীরা।
নতুনসময়/এসএম