আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় পাগলা মিজানের গাড়ি-বাড়ি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বরের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানের সময় আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি-গাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ থেকেই মিজান এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তার বাসা থেকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক এবং এক কোটি টাকার এফডিআরের ডকুমেন্ট জব্দ করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মিজানুরের মোহাম্মদপুরের আওরঙ্গজেব রোডের বাসভবনে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, দেশের বাইরে দুটি বাড়ি ও দামি গাড়ি আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় একটি বাড়ি এবং আরেকটি বাড়ি অস্ট্রেলিয়ায়।
সারওয়ার আলম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েকদিন ধরে মিজানকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। গ্রেফতার হতে পারেন টের পেয়ে গত দু-তিন দিন আগে ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। শুক্রবার ভোরে শ্রীমঙ্গলের কলেজ গেইট এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বাসাটি তার বান্ধবীর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে মিজানের কাউন্সিলর অফিসে পরে মোহাম্মদপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
সারওয়ার আলম বলেন, বাসা তল্লাশি করে ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার মূল্যের বিভিন্ন বাংকের চেক, এক কোটি টাকার এফডিআরের কাগজ উদ্ধার করা হয়। এসব টাকার কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। মাসিক বেতন ছাড়া আমরা তার দৃশ্যত কোনো ব্যবসার খোঁজ পাইনি।
১৫ বছর আগে তার ইটভাটার একটি ব্যবসা ছিল। কিন্তু এখন সেটিও নেই। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মিজান প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে গত দুই দিনে ৬৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা কোথায় রেখেছেন এখনও আমরা জানতে পারিনি। তদন্তে হয়ত এই জিনিসটি বের হয়ে আসবে।’
র্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, গ্রেফতার মিজানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসাসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে চাঁদাবাজির ছাড়া জমি দখলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ৩২ নম্বরের বাড়িতে তাকে হত্যার জন্য যে হামলা করা হয়েছিল সেই ঘটনার সঙ্গে মিজান ও তার ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল। দুই ভাই এক সময় ফ্রিডম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানায় র্যাব।