সম্রাট গ্রেফতারের জল্পনা টপ অফ দ্যা টাউন:ডিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ভিড়

আলোচিত যুবলীগ নেতা সম্রাটের গ্রেফতারের বিষয়ে তথ্য জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে সাংবাদিকরা ভিড় করেছেন। (ক্যাসিনো সম্রাট) গ্রেফতারের জল্পনা টপ অফ দ্যা টাউন। তাকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গুঞ্জন চাউর হয়েছে। যদিও আইনশৃংখলা বাহিনী এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলছে না।
গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, সম্রাটকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো একটি ইউনিট। আবার তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে বলেও জোরালো গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এসব জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই রোববার সকাল থেকে রাজধানীতে ডিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ভিড় জমে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাটের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য জানতে মুখিয়ে আছেন সাংবাদিকরা। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রেফতার বা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
এর আগে শনিবার সম্রাটের গ্রেফতারের বিষয়ে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, দেখবেন, আপনারা শিগগিরই দেখবেন। আপনারা অনেক কিছু বলছেন, আমরা যেটি বলছি ‘সম্রাট’ হোক আর যেই হোক, অপরাধ করলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব। 'আমি এটি এখনও বলছি- সম্রাট বলে কথা নয়; যে কেউ আইনের আওতায় আসবে। আপনারা সময় হলেই দেখবেন।
সম্রাটের গ্রেফতারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহ্স্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'ওয়েট অ্যান্ড সি'। তার এই বক্তব্য ঘিরে জল্পনা আরও দৃঢ় হয়।
আবার বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কোনো একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আটক করেছে। তাকে ক্যাসিনো ব্যবসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য থেকেই সম্রাটের গ্রেফতারের গ্রিন সিগন্যাল পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরই তাকে আটক করা হয় বলে জল্পনা শুরু হয়।
চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যুবলীগের কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর সম্রাটের নাম আসতে থাকে গণমাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতি রাতে ৪০ লাখ টাকা রাজধানীর ১৫টি ক্যাসিনো থেকে চাঁদা হিসেবে পেতেন ইসমাইল হোসেন সম্রাট।
কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন যুবলীগের এই প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু তার গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়ায় অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, অধরাই থেকে যাচ্ছেন ক্যাসিনো সম্রাট। কিন্তু সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, সম্রাট গ্রেফতার এড়াতে নানা ফন্দিফিকির করলেও তার রেহাই নেই। তার গ্রেফতার নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও গুজব। তবে সম্রাটকে নিয়ে এই গুঞ্জন ও গুজবের নতুনমাত্রা পেয়েছে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।
নতুনসময়/এসএম