আ’লীগ ফেঁসে গেলে দোষ চাপায় বিএনপির ওপর: রিজভী

আওয়ামী লীগের চিরাচরিত নীতি হচ্ছে- তারা কোনো বড় কেলেঙ্কারি করে ধরা খাওয়ার পর যখন আর সামাল দিতে পারে না বলেছেন,বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তখন তারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। তারা ফেঁসে গেলে সব দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। আওয়ামী লীগ নেতারা একবার বলেন- ক্যাসিনো নাকি চালু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আবার কদিন পর বলেন- না ক্যাসিনো চালু করেছেন মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা।
‘তথ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তাদের ভেতরে বড় কোনো ঘাপলা রয়েছে, যে ঘাপলা এখনও উন্মোচিত হয়নি। তাই আওয়ামী চুনোপুঁটিদের ধরে এখন সেটিকে আড়াল করা হচ্ছে। আর সে জন্যই বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেত্রীবৃন্দ সম্পর্কে অপপ্রচার করা হচ্ছে। দুর্নীতি ও হরিলুটের কুৎসিত চেহারাগুলো বের হয়ে যাওয়াতে প্রধানমন্ত্রীর গোপাল ভাঁড় তথ্যমন্ত্রী অন্ধের প্রলাপ বকছেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ যদি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর চেয়ে মিথ্যাচার বেশি করতে না পারেন, তা হলে তার মন্ত্রিত্ব থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ক্ষমতাসীন দলের ছোটখাটো নেতাদের ঘরে অবৈধ টাকার খনি আবিষ্কৃত হচ্ছে। জুয়া, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করে ঘরে ঘরে গড়ে তুলেছে টাকশাল, টাকার পাহাড়। টাকা লুকানোরও জায়গা পাচ্ছে না। কাজের লোকের বাড়িতেও কোটি কোটি টাকা সিন্দুকে ভরে লুকিয়ে রেখেছেন।
রিজভী বলেন, এ সরকারের লোকজন জুয়া-ক্যাসিনোতে ভাসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। একটি মুসলিমপ্রধান দেশকে নিষিদ্ধ জুয়া-ক্যাসিনোর দেশে পরিণত করা হয়েছে। এখন তাদের নেতা-এমপি-আমলারা ক্যাসিনোর পক্ষে প্রকাশ্যে সাফাই গাইছেন। তারা সবকিছু হালাল করার চেষ্টা করছেন।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযানকে লোক দেখানো আইওয়াশ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তথাকথিত শুদ্ধি অভিযানের নামে ধরা হচ্ছে কাচকি মাছ। দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের টিকটিও স্পর্শ করতে পারেনি। দুর্নীতি ও লুটপাটের গডফাদাররাই এখনও নিয়ন্ত্রণ করছে সবকিছু।
তিনি আরো বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গতকাল রাজশাহীতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন- ‘ক্যাসিনো সংস্কৃতি বিএনপি আমলেই শুরু করা হয়েছে। মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা এগুলো শুরু করেছিলেন। তখন ক্ষমতার শীর্ষপর্যায় এগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নতুনসময়/এসএম