পল্লী নিবাসে কবর প্রস্তুত, এরশাদকে নিয়ে গেলেন নেতাকর্মীরা

চার কিলোমিটার হেঁটে জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়ি এরশাদের স্বপ্নের বাসভবন রংপুরের পল্লী নিবাসে নিয়ে গেলেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বাদ জোহর বেলা আড়াইটায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মরদেহ বহনকারী গাড়ি আটকে দেয়া হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি জানান।
এ অবস্থায় রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পল্লী নিবাসেই সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পার্টি। পরে কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পল্লী নিবাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়ি ধীরে ধীরে চলতে দেখা যায়। ওই গাড়ির সঙ্গে পল্লী নিবাসের উদ্দেশ্যে হাঁটছে হাজার হাজার মানুষ। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পল্লী নিবাসে এরশাদকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পল্লী নিবাসে। এরশাদের কফিনবাহী গাড়িতে আছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।
রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, স্যারের মরদেহ (এরশাদ) রংপুরে তার ইচ্ছা অনুযায়ী দাফন করা হবে। আমরা স্যারের ইচ্ছা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। এখানে দাফন হলে সাধারণ মানুষসহ দলীয় লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যে কবর জিয়ারত করতে পারবেন। এটা আমাদের পরম পাওয়া।
এর আগে জানাজা শেষে নেতাকর্মীদের দাবির মুখে এইচ এম এরশাদের দাফন রংপুরেই হবে বলে ঘোষণা দেন এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
মঙ্গলবার রংপুর শহরে এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজা শেষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের জোরালো দাবির মুখে এ ঘোষণা দেন কাদের। এরই মধ্যে এরশাদের দাফন রংপুরে করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন স্ত্রী রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা যায়, পল্লী নিবাসে এরশাদের সমাহিত করার অনুমতি দিয়েছেন তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। এরশাদের কবরের পাশে নিজের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেন তিনি। ফলে সবার সম্মতিক্রমে রংপুরেই হবে এরশাদের দাফন।
নতুনসময়/এমএন