ঢাকা রবিবার, ২৯শে জুন ২০২৫, ১৫ই আষাঢ় ১৪৩২


ধর্ষণের পর ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে লম্পট মাদরাসা সুপার পানিপড়া দেন


২০ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩২

নতুন সময়

বাগেরহাটে শরণখোলায় ধর্ষণ মামলায় সুপার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। । আটক ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাশিদিয় ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত আ. গফফার জোমাদ্দারের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

লম্পট মাদরাসা সুপার ওইদিন বিকেলে মেয়েটির বাড়িতে যান। সেখানে গেলে মা-বাবা ও পারিবারের লোকজন মেয়ের অসুস্থতার কথা সুপারকে জানালে তিনি বলেন, হয়তো মাদরাসা থেকে আসার পথে খারাপ বাতাস লেগেছে। তাই রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে ওই লম্পট মেয়েটিকে তাবিজ ও পানিপড়া দেন। এতে সে সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেও সুস্থ না হলে ঘটনার দুদিন পর মেয়েটি ধর্ষণের কথা বলেন। মা-বাবা মানসম্মানের ভয়ে গোপনে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে সে কিছুটা সুস্থ হয়। পরে ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মামলার পরামর্শ দেন।

পরে ১৯ আগস্ট রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন নামের ওই সুপারের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় মামলা করেন। মামলার পরে সুপার গা ঢাকা দেয়।

পিবিআইয়ের বাগেরহাট জেলার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলাটি গেল ১৪ সেপ্টেম্বর পিবিআই এ হস্তান্তর করা হয়। মাদরাসা সুপার রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য এর আগে গাজীপুর এবং পিরোজপুরেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটাখালী এলাকা থেকে সে বাসে করে পালানোর সময় আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার মাদরাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। গেল আট আগস্ট বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (সতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদরাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

নতুনসময়/এসএম