নাটোরে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

নাটোরের সিংড়ায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে, ফারজানা (২২) নাম তার। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি- তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাদম গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারজানার সঙ্গে খালাতো ভাই পুলিশ কনস্টেবল রায়হানের পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
রায়হানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১০ দিন আগে এক সপ্তাহের ছুটিতে বাড়ি আসে রায়হান। তার কর্মস্থল জয়পুরহাটে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ফারজানাকে নিয়ে থাকবে বলে জানায় রায়হান। গতরাতে তারা মোবাইলে কথা বলে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ ফারজানা মোবাইল বন্ধ করে রাখে। তখন রায়হান আমার মোবাইলে কল দিয়ে ফারজানার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমি ফোন নিয়ে গিয়ে দেখি ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে ফারজানা। দ্রুত তাকে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নিহত ফারজানার ভাই সুমন বলেন, রায়হান যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেলের জন্য ফারজানাকে বারবার চাপ দিচ্ছিল। মাঝে মাঝে নির্যাতনও করতো। ফারজানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
নিহত ফারজানা জয়পুরহাট সদর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রায়হানের স্ত্রী। রায়হান নওদাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার বলেন, প্রথমে আমরা আত্মহত্যার খবর পাই। পরে প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
নতুনসময়/এসএম