ঢাকা শনিবার, ২৮শে জুন ২০২৫, ১৫ই আষাঢ় ১৪৩২


সাবেক স্বামীর সহায়তায় সোনিয়াকে ধর্ষণ করে প্রেমিক'


২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০৮

নতুন সময়

ফরিদপুরের আকলিমা আক্তার সোনিয়া (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। হত্যার আগে সোনিয়াকে তার সাবেক স্বামীর সহায়তায় ধর্ষণ করে প্রেমিক। এরপর তালতলা এলাকায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। বুধবার বিকেলে র‌্যাব-৮ ফরিদপুরের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, এ হত্যাকাণ্ডেরর সঙ্গে জড়িত রাসেল দেওয়ান নামের একজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। ধর্ষণ ও হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর শহরতলীর তালতলা এলাকা থেকে সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের জমাদ্দার ডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখের মেয়ে।

দেবাশীষ কর্মকার আরও জানান, সোনিয়ার লাশ উদ্ধার হওয়ার পর ঘটনাটির নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তদন্তের এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাসেলকে আটক করা হয়। রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আটক রাসেলের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী এলাকার পশ্চিম রতনদিয়া গ্রামে।

র‌্যাব জানায়, সোনিয়ার সাবেক স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে তার প্রেমিক। সেই অনুযায়ী গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় প্রেমিক। এরপর মাইক্রোবাসে তার প্রেমিক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় সোনিয়ার সাবেক স্বামী মাইক্রোবাসের ব্যাকডালার মধ্যে লুকিয়ে ছিল। এক পর্যায়ে ব্যাকডালা থেকে বের হয়ে এসে সেও সোনিয়াকে ধর্ষণ করতে চাইলে সোনিয়া চিৎকার শুরু করে। তখন শহরের অম্বিকাপুর এলাকায় মাইক্রোবাস থামিয়ে রাসেলের সহায়তায়, সোনিয়ার প্রেমিক ও সাবেক স্বামী মিলে তার মাথার পেছনে ছুরিকাঘাত করে। হত্যা শেষে তারা চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ, গত ২০ সেপ্টেম্বর তালতলা এলাকা থেকে সোনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর ওইদিনই কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন সোনিয়ার বাবা।

নতুনসময়/এসএম