ভোলায় ইউপি সদস্য হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি ২ মাসেও

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম হাকিম মিজি (৪৫) হত্যা মামলার ২ মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত। নিহতের স্ত্রী শাহানুর বেগম মামলার দ্রুত তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। অপরদিকে পুলিশ বলছে এ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। এবং আদালতে হত্যার দায় ও বিবরণ স্বীকার করেছে। মামলার এখন তদন্ত চলছে।
নিহতের স্ত্রী শাহানুর বেগম জানান, হত্যার দিন রাত ১১ টার দিকে আমার স্বামীর সাথে ফোনে কথা হয়। তিনি তখন বলেন আবুল কালামের সাথে আছে তারা হান্নান নামে এক রিক্সা ওলার রিক্সা নিয়ে আসতেছি। পরে অনেক রাত হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরেনি। পরের দিন সকালে তার মৃত্যু খবর পাই আমরা। এরপর তার লাশ দাফন শেষে সন্ধ্যায় আমি বাদী হয়ে আবুল কালামকে প্রধান আসামী ও আরো ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। পুলিশ প্রধান আসামী আবুল কামালকে গ্রেফতার করলেও আর কাউকে গ্রেফতার করেনি। তাই আমি বাধ্য হয়ে ২৪ জুন ভোলা কোর্টে ১১ জনকে আসামী করে আবারও মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলার এতদিনও বাকী আসামীরা গ্রেফতার হয়নি।
তিনি আরো জানান, আমি এ হত্যা মামলার দ্রুত তদন্ত ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী করছি।
ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আরমান হোসেন জানান, এ হত্যা মালার প্রধান আসামীকে আবুল কালাম আজাদকে আমরা গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করেছি। সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, মামলা এখন তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক তথ্য প্রকাশ করে
যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম হাকিম মিজি গত ৪ জুন ঈদের আগের দিন রাতে ভোলা থেকে তার বাড়ি ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মিজি বাড়ির উদ্যেশে রওনা হয়। পথে তাকে খুন করা হয়। পরের দিন ৫ জুন সকালে তার লাশ ওই এলাকার একটি খালে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। ওই দিনই এ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।