ঢাকা শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২


টাইগারকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়


২৬ জুলাই ২০১৯ ০৩:১৩

এইবার কোরবানির ঈদে দেখা যাবে টাইগারকে। তবে হাঁটে নয়, মাঠেও নয় এটি দেখা যাবে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের মধুপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। এটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

টাইগার মধুপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের গৃহপালিত ষাঁড়ের নাম। সামাদ আদর করে ৩০ মন ওজনের এই ষাঁড় গরুটির নাম রেখেছেন টাইগার। ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করছেন টাইগারকে। আর এই টাইগারকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা।

টাইগারের স্থানীয় চিকিৎসক লাল মিয়া জানান, টাইগার ৯ ফুঁট ৭ইঞ্চি লম্বা, উচ্চতা ৬ ফুঁট ৫ ইঞ্চি ও গলার বেড় ৩ফুঁট ৬ ইঞ্চি। যার ওজন ১ টনেরও বেশী।

সামাদ হোসেন দেড় বছর আগে টাঙ্গাইলের দেওয়াহাট বাজার থেকে দেড় বছর বয়সী ফিলিজিয়াম জাতের ষাঁড়টি কিনে আনেন। কোরবানী ঈদে বিক্রি করার জন্য দুই বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন। বেশ বিলাসিতা ভাবেই রাখা হচ্ছে টাইগারকে। যে ঘরটিতে টাইগার থাকে সেটির মেঝে পাকা। টাইগারের পায়ের গোড়ালীতে যাতে কোন ব্যথা না পায় সে জন্য ফ্লোড়ে পাতা আছে দামী ম্যাট। আর ১৮ হাজার টাকা বেতনের একজন রাখাল টাইগারকে পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন।

গরম থেকে সুরক্ষায় তার জন্য রয়েছে ২টি সিলিং ফ্যানসহ পাঁচটি ফ্যান। খাবার মেন্যুতে রয়েছে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি আপেল, মালটা, কলা, পেয়ারা ও মিষ্টি লাউ। প্রতিদিন টাইগারকে প্রায় ১১'শ থেকে ১২'শ টাকার পরিমাণ বিভিন্ন খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে। ২বছর ধরে এই পরিমাণ টাকার খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। আর আগে টাইগারের জন্য প্রতিদিন বাজেট বরাদ্দ ছিলো ১৪'শ থেকে ১৫'শ টাকা।

গরুর মালিক ৩০ মন ওজনের টাইগারের দাম হাকাচ্ছেন ১৫ লক্ষ টাকা।

খামারী সামাদ জানান, ইতিমধ্যে টাইগারের দাম উঠেছে ১১ লাখ। একজন দাম করেছেন সাড়ে ১২ লাখ। তার বিশ্বাস ভারতীয় গরু না আসলে তিনি কাঙ্খিত দামই পাবেন বলে আশাবা।