ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


না ফেরার দেশে চলে গেলেন মাহফুজ উল্লাহ


২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০০

না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মাহফুজ উল্লাহ। রবিবার দুপুরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। এর আগে ২ এপ্রিল তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয় । তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর সেখান থেকে বুধবার ১০ই এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেয়া হয়।
মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ই মার্চ নোয়াখালীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ছিলেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রাসহ দেশের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন।

মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে, কূটনীতিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’র প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশে পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করেন। রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচার’র আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী নির্বাচিত সদস্য। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মাহফুজ উল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিতা শিক্ষাবিদ মরহুম হাবিবুল্লাহ এবং মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরলোকগত কমরেড মোজাফফর আহমদের দৌহিত্র।

নতুনসময়/এনএইচ