তাদের বিচার কে করবে ?

চলে গেলো নুসরাত। যাওয়ার আগে রেখে গেছে অনেক প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন গুলোর জবাব কারো কাছেই নেই। নুসরাত হত্যার জন্য কি সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন দায়ী নন ?
শরীরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যার আগেই যৌন হয়রানির অভিযোগ করতে গিয়ে ফেনীর সোনাগাজী থানার ওসির কক্ষে আরেক দফা হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল ছাত্রী নুসরাতকে। ওসি নিয়ম ভেঙে জেরা করতে করতেই নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন। মৌখিক অভিযোগ নেওয়ার সময় দুই পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।
তাহলে প্রশ্নটা থেকেই যায় কেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের ভিডিও করেছিলেন ? কি উদ্দেশ্য ছিল তার ? এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত আমরা কখনো জানতে পারবো না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসেবুকে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ মামলার আসামিদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
মামলার নামীয় আসামিরা হলো অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামী সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন।
আজ নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পৌর কাউন্সিলর মকসুদুল আলমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং নুর উদ্দিনকে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেফতার করা করেছে পুলিশ।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পলাতক রয়েছেন সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের ।