ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২


নুসরাত হত্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবহেলা করলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫১

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এলে এবং তা প্রমাণিত হলে তারা কেউ রেহাই পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরইমধ্যেই ফেনীর সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধী তিনি যত বড় ক্ষমতাশালীই হোন না কেন, আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। কোনোভাবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হত্যার ঘটনা তদন্ত করবে। এ তদন্তে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির দায়িত্ব পালনের বিষয়টিও থাকবে। তদন্তে ওসির গাফিলতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘নুসরাত হত্যার বিচার প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করা হবে। অপরাধীরা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করে আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।’

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নুসরাতের ঘটনায় প্রসিকিউশনকে বলেছি যেন দ্রুত ও সর্বোচ্চভাবে তারা তাদের কাজটা করে।’

পোড়া শরীর নিয়ে টানা পাঁচদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল বুধবার রাতে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন নুসরাত। আজ ময়নাতদন্তের পর তাঁর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

নুসরাত জাহান এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসা মানিকের মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন দেয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

নুসরাতের পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নুসরাত বিষয়টি বাসায় জানালে তাঁদের মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় অধ্যক্ষের লোকজন। কিন্তু নুসরাত অপারগতা প্রকাশ করেন।