ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী


১৬ মার্চ ২০১৯ ২১:৫৩

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। গত ১০ বছরে সারাদেশে সড়ক যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন আমরা অব্যাহত রাখবো।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতার চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার এবং লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাস এর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে গাড়ি চলাচলের গতি বেড়ে যাচ্ছে। যারা রাস্তা পার হবেন তারা দেখে-শুনে নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা পার হবেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, শিশুদের সঙ্গে নিয়ে অনেকে গাড়ির ফাঁক-ফোকর দিয়ে রাস্তা পার হয়ে চলে যায়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের দুর্ঘটনা কাম্য নয়।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চারশ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকটা কমে আসবে।

তারা আরও জানান, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে এবং খুব শিগগির এ সেতু দুটিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতুর পাশাপাশি তিনটি চার লেনের সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুভোর্গের অবসান ঘটবে বলে আরএইচডি’র কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন।

জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি কর্পোরেশন, শিমিজু কর্পোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ার কর্পোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম কোম্পানি লিমিটেড ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর পাশে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী জুনে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার মাস আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।