ঢাকা শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫, ৭ই আষাঢ় ১৪৩২


প্রতারণার ফাঁদ পেতে ক্লিনিক চালাচ্ছে মালিকরা


১৮ জানুয়ারী ২০১৯ ০৭:২৫

প্রতীকি  ছবি

সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অনিয়ম আর দূর্ণীতির মধ্য দিয়ে চলছে রাজধানীতে শতাধিক ক্লিনিক। অধিকাংশ ক্লিনিকে দেখা মিলেনা কোন সার্জন , নেই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, নেই ডপ্লোমাধারী নার্স, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ওয়ার্ডবয়। এমনই আজব প্রতারণার ফাঁদ পেতে ক্লিনিক চালাচ্ছে মালিকরা।

ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি মা সহ একের পর এক রোগীর মৃত্যুর খবরের আহাজারি ঘটনা দেখা যায় । রাজধানী বাহিরের জেলা গুলুতে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায় একটি ক্লিনিকে ৯ টি বেড, ১ জন সার্জন, ১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ১ জন ডিপ্লোমা সহ ৫ জন নার্স, প্রশিক্ষিত ওয়ার্ডবয় থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে নেই এর মিল!

এমনি কায়দায় চলছে এমনি ক্লিনিক মালিকদের রমরমা ব্যবসা। রাজধানীতে বেশ একাদিক ক্লিনিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নোংরা অপরিকল্পিত ভাবে চালাচ্ছে অসাধু ক্লিনিক মালিকরা। সেবার নামে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অপারেশন থিয়েটার, ওয়ার্ড, বেড সব কিছু অগোছলো। একটি রুমে ৩/৪টি করে বেড ।আলট্রাসনো করেন ক্লিনিক মালিক,স্থায়ী থাকেনা কোন বিশেজ্ঞ ডাক্তার। নারী পুরুষ রোগী, রোগীর স্বজন একই ওয়ার্ডে রাত্রি যাপন। অবৈধ্য গর্বপাত ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে অনেক ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক ব্যক্তিরা জানান,বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় নির্দারিত ডাক্তার থাকার কতা থাকলেও সঠিক সময়ে ডাক্তার পাওয়া যায় না। অথচ ক্লিনিকে বিভিন্ন সার্জেন্টের নাম ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।অথচ অধিকাংশ সময় দেখা যায় ডাক্তার রোগীর সর্ম্পকে তেমন ধারনাই থাকেনা।

এ ধরনের অপারেশন করতে গিয়ে প্রসুতি রোগীর মৃত্যু খবরও পাওয়া যায় ।আবার কখনও কখনও দেখা যায়, একজন রোগী এলে তাকে অপারেশন টেবিলে উঠিয়ে তারপর শুরু করে বিভিন্ন নাটক। ১৫/২০ টি বেড আছে, কিন্তু‘ স্থায়ী ভাবে কারও দেখা মিলে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডা. নার্স ইত্যাদি থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে এ নিয়ম কোন হাসপাতাল মানেনা।এসব বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সহকারী রেজিস্টার ডা: মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক ফরাজী সোহেল নতুন সময়কে বলেন, শ্রীগই অসাধু ক্লিনিক মালিকদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

নতুনসময়/মোকতার/ইমরান