ঢাকা শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫, ৭ই আষাঢ় ১৪৩২


বেতন-ভাতাসহ সুবিধা প্রয়োজন সরকার মেটাচ্ছে তাহলে কেন দুর্নীতি হবে


১৮ জানুয়ারী ২০১৯ ০৪:৪৯

ফাইল ফটো

দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতা প্রয়োজন অনুসারে বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যে হারে বেতন বাড়িয়েছি। এ উদাহরণ মনে হয় পৃথিবীর কোনো দেশে নাই। সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ যেসব সুবিধা প্রয়োজন, তা সরকার মেটাচ্ছে। তাহলে কেন দুর্নীতি হবে, সে প্রশ্ন করেন তিনি। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে এবং মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি তা পূরণ করার জন্য সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা দরকার। আমরা বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা এতো বেশি বৃদ্ধি করে দিয়েছি, সেক্ষেত্রে দুর্নীতি করার প্রয়োজনতো দেখি না।’

বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করবো, একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, দেশটা আমাদের। আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। আজকে সারাবিশ্বে একটা সম্মানজনক জায়গায় আসতে পেরেছি। এখন সেই পাকিস্তানও বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আজকে কিন্তু আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলার সাহসও তাদের নেই। বলতেও তারা পারবে না। এই এগিয়ে যাওয়া, এই যাত্রা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে আমি মনে করি স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত হতে পারে।’ একটা সময় বাংলাদেশে দরপত্র বাক্স ছিনতাই হতো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কারণে আমরা ই-টেন্ডারে চলে গেলাম। এখন আর টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শোনা যায় না। এভাবেই আমি মনে করি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি অনেকটা নিশ্চিত করা যায়। আমরা সেটাও করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছি। তেমনি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমি জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছি।’