আবাদি জমির সর্বোত্তম ব্যবহারে ঝিনাইদহে বাড়ছে মিশ্রচাষ
ঝিনাইদহে বাড়ছে মিশ্রচাষের প্রবণতা। ধানের ক্ষেতে একই সঙ্গে হচ্ছে কলা চাষ। এ পদ্ধতিতে একটি ফসল ঘরে ওঠার কয়েক মাস পরই উঠে আসছে আরেকটি অর্থকরী ফসল। এতে আবাদি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়ছে। অন্যদিকে, কমছে উৎপাদন খরচ। দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিশ্রচাষের এই পদ্ধতি।
মিশ্রচাষের মাঠের দৃশ্যমান আবহ অনেকটা এমন— দিগন্ত জোড়া সবুজের সমারোহ। সেই ধানের ক্ষেতের মাঝে সারি সারি কলাগাছ। কোথাও মাথা তুলে আবার কোথাও মুখ লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মূলত, বিষয়টি দৃষ্টিনন্দন হলেও কলার সাথে ধানের মিশ্রচাষ পদ্ধতিটি এখন কৃষকের বাচাচ্ছে সময়, শ্রম ও পরিচর্যার খরচ। বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা খরচে চলছে কলা ও ধানের মিশ্রচাষ। সব ঠিকঠাক থাকলে দুই ফসলে ঘরে আসবে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা।
কৃষকরা বলছেন ধান রোপনের আগে অথবা পরে যেকোনো সময়ই লাগানো যায় কলার চারা। কলার ফলনে লাগে ৭ মাস। ধান কাটার পর লাগালে তা ভালো ফলন দেয় না বরং সে কলা হয়ে যায় অপিরপক্ক। যে তিন মাস ধান আর কলা থাকে সে তিন মাসে একই সার প্রোয়োগে উভয় ফসলেরই ফলন বৃদ্ধি পায়। আগাছা নিধনও একই সাথে এক খরচেই করা সম্ভব ।
সাথি ফসল অর্থাৎ মিশ্র চাষের পরিধি বাড়াতে কৃষকদেরকে প্রযুক্তিগতসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ঝিনাইদহ খামার বাড়ীর উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, অনেকেই ধানের সঙ্গে কলার এই চাষ করে চলেছেন। সাথী ফসল হিসেবে এই মিশ্রচাষে তারা লাভবানও হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও তাদেরকে সহায়তা করছে।
উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে জেলার আবাদী জমির পরিমান ১ লাখ ৫০ পঞ্চাশ ২৩২ হেক্টর। তবে কত হেক্টর জমিতে মিশ্র ফসলের চাষ হচ্ছে সে ব্যাপারে তথ্য নেই কৃষি বিভাগের কাছে।
