বিসিএস চাকরি প্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
শাহবাগে ৪৩ ও ৪৪তমসহ চলমান বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশীদের তিন দফা দাবিতে পালন করা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অনেক ক্যাডার ও নন ক্যাডার প্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থী।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে আজকের মধ্যে ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএস থেকে আগের মতো অধিক হারে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ব্যবস্থা করার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
একইসাথে, তিন দফা দাবিও উত্থাপন করেন তারা। এক পর্যায়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পর শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। যানচলাচল বন্ধ হওয়ায় তৎপর হয় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আন্দোলনকারীদের। চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি, বিনা উসকানিতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে।
এর আগে, ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে শাহবাগে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন। সেইসাথে, অভিযোগ করেন মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধেও।
প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের দাবি জানান। এসময় তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১। অধিযাচনকৃত পদসহ ৪৪তম বিসিএসের পুনঃফলাফল দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।
২। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর ও অনুমোদনের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করে ৪৩, ৪৪তমসহ চলমান প্রত্যেক বিসিএস থেকে নন ক্যাডার পদে সুপারিশের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচনকৃত পদসমূহে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশ করতে হবে।
এরও আগে, গত আগস্ট মাসে তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অনশন করেন তারা।
চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, ২০২৩ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুযোগকে সংকুচিত করা হয়। পরে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে বর্তমান সরকার বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নিয়োগ বাণিজ্য সিন্ডিকেটের কারণে এখনও তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ অনশনকারীদের। পাশাপাশি বিসিএস এবং নন ক্যাডারে আগের মতো পদ বৃদ্ধি করে বেশিসংখ্যক প্রার্থী সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা।
অনশনকারীরা আরও অভিযোগ করেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে সরাসরি নিয়োগের তোড়জোড় করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।
নন ক্যাডার প্রত্যাশীরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত নিয়োগ দিতে বলেছেন। এখন যদি আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাহলে সময় লাগবে দুই বছর। অথচ বিসিএস নন–ক্যাডার থেকে নিলে সময় লাগবে এক মাস। সিন্ডিকেট বাণিজ্যের কারণে এমনটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
