ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে না এখনই, নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি


১৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫:৪৪

ফাইল ফটো

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে, দীর্ঘ ১৫ মাস পর আশায় বুক বেধেছিল অবরুদ্ধ গাজাবাসী। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে, প্রথম ধাপে যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে, তাদের তালিকা না দেয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। 

ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন যতক্ষণ না ইসরায়েল হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের তালিকা না পায়, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।
 
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামাস এখনও জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহ করেনি। তবে জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহে বিলম্বের জন্য কারিগরি ত্রুটি ও মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়কে দায়ী করেছে হামাস।
 
টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
 
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন গাজা থেকে তিনজন নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, শনিবার বিকেলের মধ্যে তাদের নাম হস্তান্তর করার থাকলেও রোববার সকাল পর্যন্ত হামাস তা করেনি।
 
এর আগে শনিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির প্রথম ধাপটি ‘একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’। যদি এটি ব্যর্থ হলে মার্কিন সহায়তায় পুনরায় যুদ্ধ  শুরু করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।
 
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী, স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। যুদ্ধবিরতির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকেও শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস প্রথমে আক্রমণ করে। পালটা জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৬ হাজার ৮৯৯ ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন। আহত ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন। বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ মানুষ।