ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


মাইক ভাড়া করে চোরকে গালাগালি, ভিডিও ভাইরাল


২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৯

ফাইল ফটো

রিকশার ব্যাটারি চুরির ঘটনায় চোরের ওপর ক্ষেপে মাইক ভাড়া করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন এক অটোরিকশাচালক। এ ব্যাপারে এক মিনিট সাত সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী চৌমুরী বাজারে এ মাইকিংয়ের ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী অটোরিকশাচালক ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আনার মিয়ার ছেলে। বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে এই নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

 

জানা যায়, মাইক ভাড়া করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করার সময় অজ্ঞাত যুবক এক মিনিট সাত সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ভাইরাল হওয়া ভিডিও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভুক্তভোগী ওই রিকশাচালকের জন্য কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করলেও মাইক লাগিয়ে গালমন্দ করায় অনেকেই করছেন এর তীব্র সমালোচনা।

 

এ বিষয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারী মুরশিদুর রহমান লিখেছেন, গালাগাল করায় ভৈরবের মানইজ্জত শেষ হয়ে গেল। শরিফ ইবান হানিফ লিখেছেন, দুঃখজনক। এলাকার ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য যথেষ্ট। জাবেদ মিয়া লিখেছেন, গালাগাল করে কি হবে ব্যাটারিতো ফেরত পাওয়া যাবে না।

 

ভুক্তভোগী হৃদয় মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার পরিবারে আমিসহ ৭ জন সদস্য। আমাদের অভাবের সংসার। অন্যের গাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ করি। ২১ ডিসেম্বর রাতে চোরচক্র আমার রিকশা থেকে ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে। তারপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও চুরি যাওয়া ব্যাটারির কোনো খোঁজ পাইনি। গাড়ি না চালিয়েও মহাজনকে দৈনিক ৫০০ টাকা জমা দিতে হচ্ছে। বউ বাচ্চাদের জন্য বাজার সদায়ও করতে পারছি না বলে মনের দুঃখে ৩০০ টাকায় মাইক ভাড়া ও এক হাজার টাকায় সিএনজি ভাড়া করে চোরের উদ্দ্যেশে গালাগাল করছি।

 

ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়া বলেন, অটোর ব্যাটারি উদ্ধারে থানায় জিডি করতে বলা হয়েছে। আমি নিজেও সেই চেষ্টা করছি।

 

ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মানিক চাঁন বলেন, যে কারও কোনো কিছু চুরি হলে বিষয়টি দুঃখজনক। তবে মাইকে গালাগালের বিষয়টি সামাজিকভাবে অন্যায়। গরিব মানুষ, মনের দুঃখে এই কাজটা করেছে যা আদৌ ঠিক হয়নি।