ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


১ জুন থেকে লক্করঝক্কর বাস চলবে না ঢাকায়


২ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৯

সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পর রঙচটা ও লক্করঝক্কর বাসে বিরুদ্ধে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১ জুন থেকে রাজধানী ঢাকায় এ ধরনের বাস চলতে পারবে না। ৩১ মের মধ্যে ভাঙাচোরা সব বাস মেরামত করতে হবে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর তিনি বলেন, মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে ১ জুন থেকে অভিযান চলবে লক্করঝক্কর বাসের বিরুদ্ধে।

সড়কে চলা ভাঙাচোরা বাসের ছবি দিয়ে গত মাসে ব্যাপক সমালোচনা হয় ফেসবুকে। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। লক্করঝক্কর বাস চলা সরকারের গাফিলতিতে কিনা- প্রশ্নে গত ২০ মার্চ মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি কি গাড়ি রঙ করব নাকি? লক্করঝক্কর বাস যখন বন্ধ করব, তখন সাংবাদিকরা সবার আগে বিক্ষোভ দেখাবেন।

তারাই বলবেন, জনগণ অপেক্ষা করে আছে, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ-গাড়ি নেই, গণপরিবহন নেই। এটা করলেও দোষ, ওটা করলেও দোষ’। তবে পরেরদিনই মন্ত্রী বলেন, সড়ক এসব বাস দেখে তিনি লজ্জা পান।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ‘ফিটনেসবিহীন, বায়ু দূষণকারী ও রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধকরণ সংক্রান্ত সভা’ হয়। নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী ৩১ মের পর ঢাকার রঙ ওঠা বাস চলতে দেওয়া হবে না। বন্ধে অভিযানে হবে। আশা করব, মালিকেরা নিজ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন বাস উপহার দেবেন’।

বৈঠকে জানানো হয়, রাজধানীতে ৩৯টি কোম্পানির ৫২৮টি ফিটনেসবিহীন বাস চলছিল। ২৫৭টি বাস ঠিক করা হয়েছে। বাসমালিকরা প্রতিশ্রুতি দেন, এপ্রিলের মধ্যে ২০ শতাংশ বাস মেরামত করবেন। বাকিগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করবেন।

মালিক সমিতির নেতারা বলেন, ঢাকায় সাড়ে ৩ হাজার বাস-মিনিবাস চলছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেছেন, ঢাকার ১২০টি কোম্পানির অধিকাংশের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা ছিলেন বৈঠকে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মে মাসের মধ্যে সব বাস ঠিকঠাক করা হবে। লক্করঝক্কর বাস থাকবে না।

গত রোববার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না। ৮ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের পুরনো বাসের তালিকা দিতে হবে মন্ত্রণালয়ে।

বাসের জন্য ২০ বছর এবং ট্রাকের জন্য ২৫ বছর আয়ুস্কাল নির্ধারণ করে গত বছরের ১৭ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। দুর্ঘটনা ও পরিবেশ দূষণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে আয়ুষ্কাল ফুরনো গাড়ি ধ্বংসে গত জুনে স্ক্র্যাপ গাইডলাইনের খসড়া করে সড়ক পরিবহন বিভাগ। এর প্রতিবাদে মাঠে নামেন মালিক শ্রমিকরা। নির্বাচনে প্রভাব পড়বে আশঙ্কায় গত ৪ আগস্ট গাড়ি আয়ুষ্কাল নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে সরকার।

নতুনসময়/এএম


সামাজিক যোগাযোগ, লক্করঝক্কর, সরকার, ঢাকা, বিআরটিএ