ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


বিদ্যুৎখাতে সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি জরুরি: প্রতিমন্ত্রী


৩০ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৭

সংগৃহীত

বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আঞ্চলিক সহযোগীতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব। যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশি দেশ সমূহের একত্রে কাজ করা অপরিহার্য।

শনিবার (৩০ মার্চ) প্রতিমন্ত্রী ঢাকার বারিধারাস্থ নেপাল দূতাবাসে “Pre-event Seminar on the 3rd Nepal Investment Summit -2024” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রীড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারাস্থ এইচভিডিসি সাব স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত।

নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। নেপাল ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি- প্রকল্পে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিনিয়োগ করবে।

ইতিমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নেপালের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট। সোলার পাওয়ার প্লান্ট সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে।

বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সাথে সাথে রপ্তানিও করা যাবে।

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-ভারত নেপাল একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি আবশ্যক জানিয়ে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব ভারত নেপালকে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি (Ghanshyam Bhandari) তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরোও উদার এবং ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে।

সময় অন্যান্যের মাঝে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাট বক্তব্য রাখেন!

নতুনসময়/এএম


বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজসম্পদ, ঢাকা, ভারত, নেপাল, চুক্তি