ঢাকা রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২


হয়রানির শিকার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ


১৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:২১

সংগৃহিত

দেশের আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলা। তবে মামলায় দায়ের করা অভিযোগ পত্রের সঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও প্রচারের সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়েছে,দায়ের করা অভিযোগপত্র বিশ্লেষন করলে এমনটাই দেখা যায়। এ নিয়ে শাহেদের পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবী করা হয়েছে।
কভিড-১৯ অর্থাৎ করানোকালে বিশ্বের অন্যদেশগুলোর মতই মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাএদশ, তখোন দেশের বেসরকারী মালিকানার প্রায় সব হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নেয়।কোন হাসপাতাল করোনা রোগী ভর্তি করেনি।
তবে সেই দুর্যোগের সময়ে প্রথমদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের একাধিক মন্ত্রীর মৌখিক অনুরোধে রিজেন্ট হাসপাতাল সরকারকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে। রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় করোনা রোগী রাখার সিদ্ধান্ত হয় এবং রিজেন্ট হাসপাতালই প্রথম করোনা রোগী ভর্তি করে। ২১/৩/২০২০ তারিখে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো.শাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচক আবুল কালাম আজাদের মধ্যে লিখিত চুক্তি হয়। সে চুক্তি বলেই রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা রোগী গ্রহন করে। ওই সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয় পরবর্তী যে কোন সময়ে হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে। সে অনুসারে হাসপাতাল কতৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করতে সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন। উলে­খ্য লাইসেন্স নবায়ন বিহীন অবস্থায়ই স্বাস্থ্য অধিপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করে এবং করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়।
পরবর্তীতে রিজেনট হাসপাতালের মালিক শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বলা হয় তিনি করোনা রোগীর ভুয়া টেস্ট রিপোর্টে দিয়েছেন এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ভ‚য়া টেস্ট রিপোর্ট হিসেবে দশজন রোগীর নাম মামলার অভিযোগ পত্রে উলে­খ করা হয় তবে যে দশজনের নাম উলে­খ করা হয়েছে তাদের সবার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে নিপসনের মেসেজ থেকে । নিপসনের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায় রিপোর্টগুলো রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শাহেদেরে বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা তার প্রমান সরকারী ওয়েব সাইট।
করোনা পরীক্ষা করার জন্য শাহেদ কোন রোগীর কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে এমন অভিযোগ কোন ব্যাক্তি করেনি এবং মামলার অভিযোগ পত্রে ও এমন কোন লোকের কথা উলে­খ নেই। এছাড়া সে সময়ে মনগড়া প্রচার করা হয় মোহাম্মাদ শাহেদ করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারী কোষাগার থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন,বাস্তবতা হলো রিজেন্ট হাসপাতাল করোনার জন্য সরকার থেকে একটি টাকাও গ্রহন করেননি। তিনি টাকা নিয়েছেন এমন কথা মামলার অভিযোগ পত্রেও বলা হয়নি। মামলার চার্জশীটে বলা হয়েছে মোহাম্মাদ শাহেদ কোন টাকা নেননি তবে এক কোটি ছিয়ানব্বই লাখ কুড়ি হাজার টাকার একটি বিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছিলেন। বাস্তবে সেটাও সত্য নয়। স্বাস্খ্য বিভাগে কোন বিলও রিজেন্ট হাসপাতাল পাঠায়নি।
মোহাম্মদ শাহেদ যদি দোষ করে থাকেন তা হলে সেটা হচ্ছে করোনা রোগীদের আশ্রয় দিয়ে,সে বিষয়ে তার বিচার হতে পারে কিন্ত তার নামে রড সিমেন্ট বাকী নেওয়ার মামলাও দেয়া হয়েছ যার সিংহভাগ পাওনা তিনি পরিশোধ করেছেন এতে বোঝা যায় তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানী করতে এ সব মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাস্তবতা হলো বিনা পারিশ্রমিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদানই তার জন্য কাল হয়ে দাড়াঁয় যা ছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন কতিপয় কর্মকর্তার কার্যকলাপ বিরোধী। এছাড়া শাহেদের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে অস্ত্রটি উদ্ধার দেখানো হয়েছে পরত্যাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকা একটি গাড়ী থেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় পনের দিন সড়কে পরত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা একটি গাড়ীর ছাদে কি ভাবে অস্ত্রটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকলো? এভাবেই শাহেদের বিরুদ্ধে গোজাঁ মিল দিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ প্রচার করা হয়েছে ভিন্ন কথা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কতিপয় প্রভাবশালী কর্মকর্তার পরিকল্পনা অনুসারে সরকারী টাকা আÍসাত করতে রাজী না হওয়ার কারনেই মূলত শাহেদকে ফাসিঁয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তিলকে তাল করে অপ্রচার করা হয়েছে।