ঢাকা রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫, ১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২


খালেদা করোনায় আক্রান্ত, নিশ্চিত করলেন ফখরুল


১১ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৪৬

ফাইল ছবি

দিনভর নানা আলোচনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চিত করলেন দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত।

রবিবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত। রিপোর্ট পজেটিভ। তবে তিনি ভালো আছেন, অন্য কোনও উপস্বর্গ নেই। ডা. এ কে এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার চিকিৎসা চলছে।

বেগম খালোদা জিয়া রোগমুক্তির জন্য সকলের দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তিনি আছেন।’

এর আগে সকাল থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে দেয়া রিপোর্টেও দেখা যায় তার পজিটিভ এসেছে।

খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাসহ অন্য কেউ আক্রান্ত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু চেয়ারপারসনের বিষয়টি জেনেছি। সেটা জানালাম। অন্যদের বিষয় জানা নেই।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া করোনার ওই প্রতিবেদনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন দেখা যায়। যেখানে রোগীর নাম দেখায় বেগম খালেদা জিয়া। আর আইসিডিডিআরবিতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

যদিও তার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন রহমান দাবি করেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার নমুনাই নেয়া হয়নি। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেননি খালেদা। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন মামুন।

তবে রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে উনার (খালেদা) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।’

এমন খবরের মধ্যে বিকাল সাড়ে চারটায় সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানেই তিনি পরিষ্কার করেন খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ আসার বিষয়টি।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।

তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগও সীমিত।