ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা


২০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪২

ফাইল ছবি

নতুন আইন (সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮) কার্যকর ও প্রয়োগ শুরু হওয়ায় সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটি বলছে, লাইট লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালানো যায় না। কিন্তু ভারী গাড়ি চালানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) লাইসেন্সও দিচ্ছে না। লাইট লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালাতে গেলেই জরিমানা করা হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা একজন শ্রমিক কীভাবে দেবে? তাই চালকরা গাড়ি চালাবেন না।

আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাক-ড্রাইভার ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালকরা গাড়ি চালাবেন না। কিছু হলেই জরিমানা করা হবে ২৫ হাজার টাকা। আছে মামলা। এর ওপর আবার চালকের লাইসেন্সের ওপর পয়েন্ট কাটা হবে। এসব কারণে চালকরা আর গাড়ি চালাবেন না।’

বিআরটিএ সহজে লাইসেন্স দিচ্ছে না এমন  অভিযোগ এনে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘লাইট লাইসেন্স দিয়ে অধিকাংশরাই বড় গাড়ি চালাচ্ছেন। এটা কেউ বলে না যে, বড় গাড়ি চালাচ্ছে তার বড় গাড়িরই লাইসেন্স প্রাপ্ত। কিন্তু তাকে দেয়া হচ্ছে লাইট লাইসেন্স। সেই লাইসেন্স নিয়ে একজন ড্রাইভার রাস্তায় নামবে আর জরিমানা করা হবে ২৫ হাজার টাকা। একজন চালক কি অত টাকা বেতন পায় এই বাজারে? তাহলে সেই চালক কীভাবে ওই জরিমানা দেবে?’

তিনি বলেন, এরকম আইন বাংলাদেশে চলে না। এ আইন কার্যকর করার আগে সবধরনের অবকাঠামো ঠিক করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমরা এসবের সমন্বয় দাবি করেছি কিন্তু পাইনি। নতুন আইন (সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮) কার্যকর ও প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তাই ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালকরা আর গাড়ি চালাবেন না। আগামীকাল সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।’

এদিকে তেজগাঁও এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের আইন সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে।

নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে গত ১ নভেম্বর। তবে প্রয়োগ শুরু হয়েছে গতকাল (১৮ নভেম্বর) থেকে। নতুন আইনটি বাস্তবায়নের প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। নতুন আইন প্রয়োগের প্রথম দিন গতকাল সোমবার রাজধানীতে আটটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রথম দিনই রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে গণপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম।