ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সড়ক পরিবহন নতুন আইন নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের


৩ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০৬

নতুন সময়

সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পাশ করা হয়েছে, সারাদেশে এ বিষয়ে ক্যাম্পেইন চলছে। এ আইন সম্পর্কে শুরুতে সাধারণ মানুষদের সচেনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেহেতু আইন নতুন পাশ করা হয়েছে তাই অনেকেই বিষয়গুলো অবগত নয়। পরিবহন মালিক-শ্রমিক হাইওয়ে পুলিশসহ সর্বস্থরে বিষয়গুলো জানিয়েছি। প্রথম এক সপ্তাহ সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ নিবে। আমরা শুরুতেই কেউ ভুল করে আইন অমান্য করলে জেল জরিমানা আদায় করছি না। আমরা কিছুদিন সময় দিয়ে পরে পুরোপুরি ভাবে এ আইন প্রয়োগ করা হবে। এখন ক্যাম্পেইনে সতর্কতা বিষয়ে মূল প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বিআরটিএ আয়োজিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রতিপালন কর্মসূচী পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোন ঘাটতি নেই। সড়কে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। ঘাটতি আছে শৃংখলার। পরিবহন এবং সড়কে শৃঙ্খলা যে ঘাটতি আছে, এবং যার কারণে দূর্ঘটনা ঘটে পাশাপাশি যানজটের বিষয়টি আমাদের দূর্ভাবনার বিষয়। আমরা এ বিষয়গুলোতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করবো। যার ফলে সড়ক এবং পরিবহন খাতে শৃৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করি। হয়তো এ বিষয়ে আমাদের আরো একটু সময় লাগবে। তবে এসব কিছুর উর্দ্ধে সকলের সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমরা এ বিষয়েও ক্যাম্পেইন চালাবো এবং মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরে আনবো।

আওয়ামীলীগেরআগামী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা পর্যায়ে শুরু হতে যাওয়া শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জেলা পর্যায়কে বাদ দিয়ে কিছু করা হচ্ছে না। সহযোগী সংগঠন গুলোর প্রতিটি শাখার যেখানেই দূর্নীতি দূষ্কর্ম যেমন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা এসব বিষয় আছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নতুন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির বিষয় প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যদি নিরপক্ষ নাই হয় তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেন কেন?। তার দলের ৭ জন নির্বাচিত হয়ে সংসদে আছেন। তাহলে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জনগণের কাছে দূর্বল হয়ে যাবে। আর সে কারনেই তারা পার্লামেন্ট যোগ দিয়েছেন। সংসদে যোগ দিয়ে তাকে অবৈধ বললে তারা নিজেরাই অবৈধ হয়ে যায়। এসব বিষয়ে অভিযোগের খাতিরেই অভিযোগ। বিএনপির একটি পুরোনো রোগ হচ্ছে নালিশ করা। আমরা যেতো ভালো কাজ করি না কেন? তারা নালিশ করবেই। তারা নির্বাচনে ব্যার্থ, আন্দোলনে ব্যার্থ। তাদের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হলে কথামালা দিয়েই সন্তুষ্ট রাখতে হবে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরিবারের দাবির বিষয়ে সরকার কিছু ভাবছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে খুবই মানবিক। বিএনপি বিষয়টি নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে সেটা বাস্তবে কতটুকু সত্য?। চিকিৎসকদের বক্তব্যের সাথে দলের বক্তব্যের কোন মিল নেই। যেখানে দলের লোক এবং প্রছন্দের চিকিৎসক নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলছে চিকিৎসার কোন সংকট নেই। তার স্বাস্থ্য ভালো আছে। দেশের বাহিরে পাঠানোর মতো কোন অবস্থা তার হয় নাই। এটা বিএনপি বলছে কিন্তু মেডিকেল বোর্ড তা বলছে না।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ জসিম উদ্দিন, নারায়ণগ ঞ্জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক, জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্লা তাসলিম হোসেন প্রমুখ।

নতুনসময়/এসএম