ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত কমিটি


১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রাথমিক কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন ছাড়াই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। 
 
বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ পরিপন্থী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
 
জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের রুম সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের এক খণ্ডকালীন শিক্ষককে ‘চতুর্থ তলা থেকে ফেলে’ দেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে। 
 
এ ঘটনার পর ভূক্তভোগী খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. মুনির মাহমুদ উপাচার্য বরাবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিএম কামরুজ্জামন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর খন্দকার হাসান মাহমুদকে তদন্ত কমিটির নিকট স্বশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
অভিযোগের বিষয়টি এতদিনে কোনো ধরনের প্রভাব না ফেললেও বর্তমানে বিভাগের সভাপতির সাথে শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের কারণে বিষয়টিকে তড়িঘড়ি করে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষকরা। 
 
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, এতদিন পর তুচ্ছ বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার কারণে বুঝাই যাচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই শিক্ষককে হেয় প্রতিপন্ন করতেই প্রশাসন এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিভাগের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলায় ওই শিক্ষককে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাছাড়া খণ্ডকালীন শিক্ষক মুনির মাহমুদের নিয়োগের স্বচ্ছতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
 
যোগাযোগ করা হলে এক শিক্ষক নেতা বলেন, শৃঙ্খলা বিধির ৫(ক)তে উল্লেখ আছে যেকোনো অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নির্ধারণ করতে হবে। সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। উপাচার্য নিজ ক্ষমতাবলে (গায়ের জোরে) নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষকদের হেনস্থা করতেই এ উপায়টি হাতে নিয়েছেন।
 
কত তারিখে ও কত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নইম সুলতান বলেন, আমি তদন্ত কমিটিতে থাকা অবস্থায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।
 
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিংয়ে উপস্থিত আছেন বলে খুদে বার্তা পাঠান।
 
একেএ