ঢাকা শনিবার, ২৮শে জুন ২০২৫, ১৫ই আষাঢ় ১৪৩২


জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের আনাগোনা


৯ জুন ২০১৯ ১১:০০

১৯৭১ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য ৩০ লাখো শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। ফিরে পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটি বাংলাদেশ। যারফলে আমরা মুখ ফুটে বাংলা ভাষায় স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাই সেই সব ভাষা শহীদদের স্মৃতিচারণে ১৯৭৮ সালে ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে আশুলিয়া নবীনগরে সবুজ সমারোহে প্রায় ১০৯ একর জমিতে গড়ে উঠেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

এটির ডিজাইন করেন আর্কিটেট সৈয়দ মঈনুল হোসাইন। ১৯৭৮ সালে এটির কাজ শুরু হয়ে ১৯৮২ সালে সম্পূন্ন হয়। দূর থেকে এই সৌধের চূড়ায় দৃষ্টি পড়লে একটি স্তম্ভ নীল আকাশের মিলন মেলায় লুকোচুড়ি খেলছে। এটির আরো কাছে গেলে কয়েকটি স্তম্ভে বিভক্ত দেখা যায়। ৭টি স্তম্ভের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে এই সৌধ। বড় স্তম্ভের উঁচ্চতা ১৫০ ফুঁট (৪৬ মিটার)।

এর অভ্যন্তরিণে রয়েছে অসংখ্য সবুজ গাছপালা। গোলাপ, শিউলি, জুঁই, চামিলি, দোলন চাপা, কদম, শাপলা, বকুলসহ নানা প্রজাতির ফুল গাছের সবুজের সমারোহের মিলন মেলা লক্ষণীয়। এছাড়া এখানে রয়েছে নানা পাখ-পাখালির বিচরণ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে পাখির কলোরবে মুখরিত হয়ে উঠে সবুজ বনানী।

শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিসৌধে বিশেষ দিনগুলোতে হাজার হাজার জনতার ঢল নামে। তেমনি ঈদের ছুঁটিতে হাজার-হাজার দর্শণার্থী ছুঁটে এসেছে এখানকার নয়াণাভিরাম সবুজ সমারোহের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে।

কেউ সবুজ ঘাসের গালিচাতে বসে প্রিয়জনদের নিয়ে গল্পের মিলন মেলায় হারিয়ে যায়। আবার কেউ গাছের সুশীতল ছায়ার পরশে নখের আছরে বাদাম ছুলছে আর গল্প করছে। অন্যদিকে এখানকার স্মৃতি হৃদয়ে গেঁথে রাখতে অনেকে আবার মোবাইলেও সেলফি তুলছি।

ঘুরতে আসা শামীম নামের এক দর্শণার্থী জানায়, অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঢুকতে টাকা লাগে। আর এখানে ঢুকতে কোন টাকা লাগেনা। তাই ঈদের ছুঁটিতে পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। সৌধ আর চারিদিকের সবুজ বনানী দেখে মন জুড়িয়ে যায়।

নতুনসময়/আইকে