রাজধানীতে দুর্নীতির প্রতিবাদে বালিশ বিক্ষোভ

পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে আবাসিক এলাকায় আসবাবপত্র উঠানো নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ গণঐক্য।
সোমবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে বালিশ হাতে প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, উন্নয়নের অন্তরালে লুটপাটে মহাব্যস্ত মহাজোট সরকার। আমি নতুন প্রজন্মের একজন রাজনীতিক কর্মী হিসেবে যখন দেখি মেগা প্রজেক্টে মহা লুটপাটের উৎসব চলছে তখন আমি হতাশ হই। ইতিহাসে যদি লক্ষ্য করি, ১৯৭১ সালে বৈষম্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল মানুষের অধিকার থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, হবে একটি সুন্দর বাংলাদেশ। কিন্তু সব কিছুই আজ বনবাসে গিয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারছে না, ভোট দিতে পারছে না। এ সুযোগ নিয়ে মহালুটপাটে মেতে উঠেছে সরকার। মানুষের ঘৃনা তাদের চোখে পড়ে না।
তিনি আরো বলেন, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে যখন দেখি বুয়ার বেতন, গাড়ী চালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তোলার দাম আকাশ ছোঁয়া, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত।
এছাড়াও তিনি বলেন, যখন দেখি কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ধানক্ষেতে আগুন দেয়, বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর বিচার হয় না, যখন ফেলানির লাশ কাটা তারে ঝুলে থাকে। বিচার কার কাছে চাইবো কূল পাই না।
বাংলাদেশ গণ ঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ বলেন, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে যে হরিলুট তা ইতিহাসে সেরা। দুর্নীতির কালো মেঘ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলেছে। এর সোচ্চার প্রতিবাদি হতে হবে, এই মহামারির বিরুদ্ধে। দেশে দুর্নীতির সাথে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা, কৃষকের হাহাকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, গণঐক্যের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম।
নতুনসময়/রাখি/আইকে