ওয়াজেদ মিয়ার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সময় লাগবে না

ওয়াজেদ মিয়ার প্রকল্প সমপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মন্তব্য করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্বপতি ইয়াফেস ওসমান।
শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,ড. ওয়াজেদ মিয়া তার প্রকল্প এলাকার লোকজনকে যে উন্নয়নের কথা শুনাতেন, তা ছিল দেশবাসীর কাছে স্বপ্নের মতো। তাঁর সেই স্বপ্ন আস্তে আস্তে বাস্তবে রূপ নেয়ায় দেশ আজ অনেক এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্বপতি ইয়াফেস ওসমান।
তিনি আরো বলেন, তাঁর আত্মাকে শান্তি দিতে চাইলে তাঁর আইডিয়া এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে হবে। অবশ্য বাবার কাজটি তাঁরই যোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় করে যাচ্ছেন। তাঁর ধ্যান-ধারণাকে অনুসরণ করছে ছেলে।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার খুব কাছে থাকলেও তা ব্যবহার করেননি। তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিরহংকার। আচার আচরণেও কখনো প্রকাশ করেননি যে, তিনি জাতির জনকের জমাতা, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী।তার মৃত্যুতে জাতি একজন কৃতী পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারিয়েছে।
আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, দেশে বিজ্ঞানের যে উন্নয়ন ও উন্নতি হয়েছে তা ড. ওয়াজেদ মিয়ার কল্যাণেই ঘটেছে। তাই তাঁর কর্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁর জীবনের আদর্শকে-অনুসরন করে দেশের জন্য কিছু একটা করতে হবে। তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোকাদ্দেম হোসেন, প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন, অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুর রশিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো।