নুসরাত হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ জড়িত সকলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন এ দাবি জানান বক্তারা ।
মানববন্ধনে সংস্থার চেয়ারম্যান আনোয়ার-ই-তাসলিমা বলেন, ফেনীর মেধাবী ছাত্রী নুসারাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা অই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে ফাঁসি দিতে হবে। ফাসি চাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীর।
এ সময় সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালীউল্লাহ্ বলেন, আমাদের দেশে নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। চার সন্তানের জননী এমনকি শিশুদেরও যৌন নির্যাতন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, যৌন নির্যাতনের জন্য কঠিন আইন করা হোক। যেন নারীদের নির্যাতন করতে ভয় পায়।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, মেধাবী ছাত্রী নুসরাত আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। সে অন্যায়ের কাছে মাথা নতো করেনি। মৃত্যুর আগেও সে দোষীদের শাস্তি চেয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে, যেন আর কোনো নারী নির্যাতনকারী রেহাই না পায়। তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে, আর কেউ যেন এমন জঘন্য অপরাধ করার সাহস না পায়।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে স্বজনদের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।