ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫, ৮ই শ্রাবণ ১৪৩২


ভারতের ভ্যারিয়েন্ট দেশে ঢুকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে’


২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৩:২৫

ছবি- সংগৃহিত

প্রতিবেশী দেশ ভারতে যে ধরনের (ভ্যারিয়েন্ট) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে সেটা বাংলাদেশে ঢুকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।

শনিবার বিএসএমএমইউ এ একটি অনুষ্ঠানে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আগের তুলনায় করোনাভাইরাসের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাবল ভ্যারিয়েন্টে মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।’

উপাচার্য বলেন, ‘ভারতের এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বিএসএমএমইউ সি ব্লকের দশম তলায় ১০ বেডের নতুন নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেন উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে নন কোভিড রোগীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন, অন্যদিকে কেবিন ব্লকের আট তলায় অবস্থিত নন কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হবেন। অর্থাৎ নন কোভিড রোগীদের জন্য নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসিইউর সংখ্যা আরও ১০টি বাড়ল। এছাড়া বর্তমান প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেবিন ব্লকের সাত তলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ বেডের আইসিইউ চালু রয়েছে। নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে বিএসএমএমইউর আইসিইউর মোট বেড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০টিতে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউসহ করোনা রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা হলো ৩৫০টি।

উদ্বোধনের সময় বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন, এ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান একেএম আখতারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই সভায় উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ ‘জিরো ভাইরাস এবং এন্টিজেন টেস্ট’ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।