ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫, ১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২


করোনাকালীন সময়ে আত্মহত্যা ১১ হাজার


১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:১৮

প্রতিকি

দেশে গত ১০ মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে যত লোক মারা গেছে তার চেয়ে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে স্টেকহোল্ডার (মিডিয়া) কনসালটেশন ওয়ার্কশপে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা করোনা নিয়ে একটা সার্ভে করেছি। দেখা গেছে, গত ১০ মাসে দেখেছি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার ও একই সময়ে আত্মহত্যায় ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় কোনো কিছু নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া ঠিক না। সমস্যা হচ্ছে, আমরা সবকিছুতে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। একটা বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে যেন অন্য কিছুতে বেশি ক্ষতি না করি। করোনা নিয়ে আমরা খুব বেশি উদ্বিগ্ন ছিলাম। অথচ অন্য কারণে অনেক বেশি মানুষ মারা যেতে পারে এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল, যা সার্ভে করার পর বের হয়ে এসেছে। একই সময়ে হার্টঅ্যাটাকে এক লাখ মানুষ মারা গেছেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যভান্ডার (ডাটাবেজ) তৈরি করবে বিবিএস। এই ডাটাবেজে সকল নাগরিকের আলাদা আলাদা তথ্য যুক্ত থাকবে। বিবিএস ডাটাবেজ তৈরির জন্য ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেড তৈরি করবে। করোনার কারণে দেশের জনশুমারি পেছানো হয়েছে। কারণ আমাদের সশরীরে মাঠপর্যায়ে উপস্থিত হয়ে ডাটা সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু উন্নত বিশ্বে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। তারা আরো আপডেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বিশেষ করে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র জাপানের পরিসংখ্যান খুব শক্তিশালী। করোনা মহামারির মধ্যে তারা জনশুমারির তথ্য আপডেট করেছে।

করোনার মধ্যে আমরা অনুভব করেছি যে, আমাদেরও সকল নাগরিকদের ডাটা সম্বলিত ডাটাবেজ দরকার। ডাটাবেজ থাকলে সহজে নাগরিকের যে-কোনো তথ্য আপডেট করতে পারব। নাগরিকদের ব্যক্তিগত ডাটাবেজে প্রত্যেক নাগরিকদের নাম, ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, সম্পত্তি, পরিবারের সদস্যসহ আরো আনুষঙ্গিক তথ্য থাকবে। সব মিলিয়ে একজন ব্যক্তির সব ধরনের তথ্য দিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আইডেনটিটি তৈরি করা হবে। ডাটাবেজটি তৈরি হলে এখান থেকে কারো তথ্য মুছে যাবে না।

তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিদিন আপডেট না দিলে জনমণে ভ্রান্তধারণা সৃষ্টি হতো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সাংবাদিক বন্ধুরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকা নিয়ে অহেতুক সমালোচনা ও গুজব চলছে। ব্যক্তিগত গুজবও চলছে। এ সুযোগ যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাথে বিবিএস যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় বাংলাদেশ বেতারের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এ এস এম জাহিদ উপস্থিত ছিলন।