১৩৭ উপজেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

দেশের ১৩৭ টি উপজেলাতে মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিটি উপজেলাতে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদের সভাপতিত্বে এণ্টি ড্রাগ ফেডারেশন আয়োজিত এনগেজমেন্ট অফ ইয়ুথ ইন কমবাটিং ড্রাগ এবিউজ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে মাদক ও বেকারত্ব সমস্যা নিরসনে একাধিকপ্রকল্প গ্রহণ করেছেন। দেশের ১৩৭ টি উপজেলাতে মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রতিটি উপজেলাতে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় তিনি মাদক প্রতিরোধে পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠন করার আহবান জানান। বর্তমান সমাজের বড় সমস্যা হলো মাদক সমস্যা। ইয়াবা এখন এমন অবস্থায় চলে গিয়েছে যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাদক গ্রহণ করছে। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয় মাদক কারবারিদের সম্পত্তি ক্রোকসহ তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এত কিছু করছি তার পরও মাদক নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আমাদের উন্নয়নের মুল উপাদান আমাদের যুব সমাজ। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।
মানস এর চেয়ারম্যান অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, বেসরকারি হিসাব মতে বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষ মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তের মধ্যে ৯৮ ভাগই ধুমপায়ী। মাদকাসক্তের নাটের গুরু সিগারেট। নারী মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৩ শতাংশ ইয়াবাসেবী। সমস্যা নিরসনে তিনি আরো বলেন, বিনোদন একটি বড় অভাব। খেলার মাঠের বদলে তারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যাস্ত থাকে। অভিভাবকদের উচিত এই ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইউএন রিপোর্ট এ বলা হয়েছে ২০৩০ থেকে ২০৪০ পর্যন্ত বাংলাদেশে তরুণ যুবকদের সংখ্যা বাড়বে ও এর পর থেকে হ্রাস পেতে থাকবে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল আলম, প্রমুখ।