ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মঞ্জুর মোর্শেদ


১৩ জুন ২০১৯ ০৩:৫১

এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।

বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

ঘুষ গ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেয়া হলো।

খন্দকার এনামুল বাছির ২৩ মে কমিশনে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশসহ অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এতে বলা হয়, ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদ ডিআইজি মিজানের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে তার নিজের নামে ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

এছাড়া তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের নামে মিজানের সম্পদ রয়েছে ৯৫ লাখ ৯১ হাজার টাকার। আর ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে রয়েছে তার ১ কোটি টাকার সম্পদ।

সব মিলিয়ে দলিল মূল্যে ডিআইজি মিজানের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে তার আয় পাওয়া গেছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং ব্যয় পাওয়া গেছে ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার।

আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকার।

প্রসঙ্গত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার চুক্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অডিও রেকর্ড দিয়ে ডিআইজি মিজান দাবি করেন, ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এই টাকা দেন তিনি।


নতুনসময়/এনএইচ