ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে আটকের হুমকি পুলিশের


২৫ মার্চ ২০১৯ ১৩:০৪

আজকের পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ফয়সাল পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলশান এলাকায় পুলিশ সদস্যদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাসুম নামে পুলিশের জনৈক এসআই ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন বলে জানা যায়।

গুলশান-১ থেকে বাড্ডার দিকে যেতে গুদারাঘাট সংলগ্ন লিংক রোডের চেকপোস্টে রোববার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফয়সালকে হেনস্তার পাশাপাশি এসআই মাসুম ও কনস্টেবল মমিন হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন থেকে ছবি মুছে ফেলতে বাধ্য করেন।

কাজী ফয়সাল জানান, গুলশানের ডিপ্লোমেটিক জোনে নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে, এমন তথ্য পেয়ে বিকেলে ওই চেকপোস্টে তল্লাশির ছবি তুলতে যাই। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পরে আসতে বললে সন্ধ্যার দিকে ওই চেকপোস্টে আবার যাই। সেখানে ছবি তোলা মাত্র এসআই মাসুম ও মমিন তেড়ে আসেন। এসআই মাসুম উত্তেজিত কণ্ঠে এখানে কার অনুমতি নিয়ে ছবি তুলছি তা জানতে চান। এ সময় কনস্টেবল মমিন বলেন, আপনি ভুয়া সাংবাদিক, অনুমতি না নিয়ে ছবি তুলেছেন। আপনাকে আটক করব এখনই।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি তাদের পেশাগত পরিচয়পত্র দেখাই এবং বলি আপনারা কেনো আমাকে আটক করবেন? আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করলাম মাত্র। আপনারা মোটরসাইকেল আরোহীকে তল্লাশি করছেন এখানে এমনকি গোপনীয়তা রয়েছে, যে ছবি তোলায় আপনারা উত্তেজিত হচ্ছেন? এ সময় কনস্টেবল মমিন সাংবাদিকের ভিজিটিং কার্ড চান। পরে তাকে ভিজিটিং কার্ড দেওয়া হয়। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম মমিন। এমন সময়ে চিৎকার দিয়ে মমিন বলেন আপনি আমার নাম জানতে চাইলেন কোনো? আপনি তো ভুয়া সাংবাদিক! আপনাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাব।

একই সময়ে এসআই মাসুম গণধোলাই দিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের চেকপোস্টে আমরা তল্লাশি করি, কি করি, না করি এটি আমাদের বিষয়। আপনি অনুমতি ছাড়া ছবি তুলতে পারেন না। আপনি দাঁড়ান আপনাকে আটক করব’।

এ অবস্থায়, ফয়সাল তার অফিস ও সাংবাদিক সহকর্মীদের বিষয়টি জানিয়ে তাদের সহযোগিতা চান। পরে, অন্য সাংবাদিকরা এসে তাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক, এটি তদন্ত করে দেখব। যদি কোনো পুলিশ সদস্য দোষী সাব্যস্ত হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।