ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাননি তারা


৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩৫

ছবি-নতুন সময়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের আপিলের শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের দশম তলায় স্থাপিত এজলাসে আপিল শুনানি চলছে।

প্রথম দিনের শুনানিতে ২৩ জনকে বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। অনেকের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে ৫০ জনের আপিলের আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

যাদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন-মৌলভীবাজার-২ মহিবুল কাদের, সাতক্ষীরা-১ এস এম মুজিবর রহমান, বগুড়া-৪ আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), কিশোরগঞ্জ ৩ ডা. মিজানুল হক, পাবনা-৩ মো. হাসাদুল ইসলাম, ফেনী-১ মিজানুর রহমান; কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাঈদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ নবাব মো. শামছুল হুদা, খাগড়াছড়িতে আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ মো. আবদুল ওয়াহাব; সাতক্ষীরা-২ মো. আফসার আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ মোহাম্মদ আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর-১ মো. পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ এস এম খলিলুর রহমান, খুলনা-২ এস এম এরশাদুজ্জামান, নাটোর-১ বীরেন্দ্রনাথ সাহা, ঢাকা-১ মো. আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ মো. আবদুল মুহিত, রাঙামাটি অমর কুমার দে, হবিগঞ্জ-২ মো. জাকির হোসেন; ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহমেদ ও সাতক্ষীরা-১ এ এম মুজিবর রহমান।


নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এরপর গত রোববার মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেওয়া তিন হাজার ৬৫ মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৭৮৬টি বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। যাদের মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছেন।

গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। তিন দিনে ৫৪৩ জন আপিল করেছেন। প্রথম দিনে ৮৪, দ্বিতীয় দিনে ২৩৭ ও তৃতীয় দিনে ২২২টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা পড়ে।

বৃহস্পতিবার ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের আবেদন শুনানি হবে। শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত এবং শনিবার ৩১১ ক্রমিক নম্বর থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত আবেদনের আপিল শুনানি গ্রহণ করবে কমিশন।