ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা


৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:৩৭

ফাইল ফটো

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ৭৮৬ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৫৪৩ জন প্রার্থী আপিল আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আপিল আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের প্রথমদিনেই বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

আপিলে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো তারা হলেন- পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান, জামালপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফরিদুল কবির তালুকদার ও খুলনা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী এসএম শফিকুল আলম মনা।

বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানি শেষে আপিলে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় গত রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। প্রার্থিতা ফিরে পেতে পরে তিনি ইসিতে আপিল করেন। বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টনের বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের আপিল-নিষ্পত্তির শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেয় ইসি।

এছাড়া ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্রের আপিল-নিষ্পত্তির শুানানী শেষে বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। জামালপুর-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বিএনপির একমাত্র প্রার্থী সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান. ফরিদুল কবির তালুকদার। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সারাদেশের যে কয়টি আসনে প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়েছিল বিএনপি, তার মধ্যে একটি খুলনা-৬। এই আপিলে এই আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বিএনপির একমাত্র প্রার্থী এসএম শফিকুল আলম মনা।

সকাল ১০টায় মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ভবনের ১১তলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামসুল হুদার আবেদনের শুনানির মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানি করছেন।

প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০ নম্বর আপিলের শুনানি হবে। ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর আবদনের শুনানি হবে। আর ৮ ডিসেম্বর শেষ দিন শুনানি হবে ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদনের। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুনানি শুরু হয়ে নির্ধারিত আবেদন নম্বর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র রয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি।

৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি, আর স্বতন্ত্র ছিল ৪৯৮টি।

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।