ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


লোডশেডিং নিয়ে যা বললেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী


৬ আগস্ট ২০২২ ০৪:৩৬

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রিত ও লোডশেডিং কমিয়ে আনার চিন্তা ভাবনা চলবে। সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকের কাছ থেকে অফার পাচ্ছি জ্বালানি তেলের কেনার বিষয়ে। তবে এখনো এ নিয়ে উপসংহারে আসিনি। এক মাস গেলে সব তথ্য বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারব- কী হারে জ্বালানি সাশ্রয় হলো।

সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ির অপব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে, বৃহস্পতিবার 'লেটস টক অন গ্রিন ট্রানজিশন' অনুষ্ঠানে জ্বালানির প্রসঙ্গে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর জার্মানি তার ২৫ শতাংশ গ্যাস বিতরণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্প জ্বালানি খুঁজছে সবাই। বিশেষত সামনের শীতের জন্য। একই অবস্থা যুক্তরাজ্যের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০০৯ সালে ১২-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকতো। সেখান থেকে সাময়িক সমস্যার জন্য এখন কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। অর্থাৎ প্রাথমিক ধকল সামলে উঠেছি আমরা। ২০০৯ সালে আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি বিদ্যুৎ খাত নিয়ে। সম্প্রতি জাপানের সহায়তায় আমরা আরেকটি পরিকল্পনা করছি।

এ সময় নসরুল হামিদ আরও বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা বাসা-বাড়ি তাদের সোলার প্যানেল ব্যবহার করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করলে মোট বিদ্যুৎ খরচ ২০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে।

তিনি বলেন, আপনি যে সোলার প্যানেল ব্যবহার করবেন আপনার ভবনে, সেখান থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হবে তা আমাদের দিয়ে দেবেন। সেটি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। আর আপনার মোট বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে সেই পরিমাণ বিদ্যুতের বিল মাইনাস করা হবে। এতে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব।

নসরুল হামিদ বলেন, আগে যে নতুন প্রযুক্তি আসতে কয়েক দশক লেগে যেত, এখন কয়েক মাসের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এ কারণেই আমরাও তা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, এরপর হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট- সামনে হয়তো নতুন আরও কিছু আসবে। সেটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।