ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


বিমানযাত্রীর ইউরো ভর্তি কার্টন নিয়ে গেলো আরেক যাত্রী, ফিরিয়ে দিলো আর্মড পুলিশ


১১ আগস্ট ২০১৯ ০৬:৩৮

গত ২৭ জুলাই ভোররাতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বেলজিয়াম থেকে ঢাকায় পৌঁছান জাবের উদ্দিন ও তার স্ত্রী জয়িতা। তাদের অনেক লাগেজের সঙ্গে ছিল ৪০ হাজার ইউরো (৩৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা) ভর্তি একটি কার্টন। তবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেল্টে যখন তাদের লাগেজ আসে তখন দেখা গেলো ইউরোর কার্টনটি উধাও।

এ বিষয়ে জাবের অভিযোগ জানান কাতার এয়ারওয়েজের কাছে, রিপোর্ট করেন বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে। তবে তিনি তখন কার্টন ফেরত পাননি। পরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশে অভিযোগ করে ৮ আগস্ট কার্টন ফিরে পান জাবের।

কীভাবে হারালেন আর উদ্ধার হলো কার্টন সেই গল্প জানান জাবের-জয়িতা দম্পতি এবং বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।

জাবের উদ্দিন বলেন, আমরা গত ১৭ বছর ধরে বেলজিয়ামে বসবাস করছি। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে করে ২৭ জুলাই ভোররাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকায় পৌঁছাই। ইমিগ্রেশন শেষে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বেল্টে মালামাল খুঁজতে গিয়ে দেখি একটি কার্টন আসেনি। তারপর কাতারের এয়ারওয়েজের কর্মীদের জানালে তারা লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে যোগাযোগ করতে বলেন। সেখানে আমরা অভিযোগ দিয়ে চলে আসি। তবে কার্টন আর ফেরত পাইনি। পরে কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে যোগাযোগ করি, কিন্তু তারা কোনও জবাব দিতে পারছিল না।

জাবের উদ্দিন বলেন, প্রথমে মনে হয়েছিল আমার কার্টন যেহেতু বেল্টে আসেনি, তাহলে হয়তো বেল্টে আসার আগেই ভ্যানিশ হয়ে গেছে। এরপর কী করবো না করবো, দিশেহারা হয়ে পড়ি। পরে একজনের পরামর্শে ৫ আগস্ট বিমানবন্দর আর্মড পুলিশে অভিযোগ করি।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, জাবের-জয়িতা দম্পতির অভিযোগ পাওয়ার পর সিসি ক্যামেরায় ব্যাগেজ বেল্ট এলাকাগুলো অনুসন্ধান করতে থাকি। পরে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে একই ফ্লাইটের আরেক যাত্রী ওই কার্টনটি নিয়ে চলে গেছেন। ইতালি থেকে আসা সেই সহযাত্রী কার্টনটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি বাহ্মণবাড়িয়া চলে যান। পরে তথ্য সংগ্রহ করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

ওই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথম ধাপে ২০ হাজার ও পরে আরও ২০ হাজার ইউরো উদ্ধার করে ৮ আগস্ট জাবের-জয়িতা দম্পতির কাছে কার্টন বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে ইউরো ফেরত পেয়ে খুশি জাবের-জয়িতা দম্পতি। তারা বলেন, আমরা হতাশার মধ্যে ছিলাম। তবে ইউরোপে পুলিশ যেভাবে সহায়তা করে, এখানেও তেমন সেবা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট।