ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ট্রাম্পের টুইট আমার কাজ করা ‘অসম্ভব’ করে তোলে: অ্যাটর্নি জেনারেল


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের কারণে ‘কাজ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। আরো বলেছেন, বিচার বিভাগের কর্মকাণ্ড নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিনিয়ত টুইট তাকে খাটো করে তুলছে। এরকমভাবে তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। বারের কাছ থেকে ট্রাম্পের এমন সমালোচনা নজিরবিহীন। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের অপরাধ মামলা নিয়ে টুইট বন্ধ করার সময় হয়েছে বলে মনে করি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোনের মামলায় মামলায় সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন বার। তার বিরুদ্ধে, প্রেসিডেন্টের চাপের মুখে নতী স্বীকারের অভিযোগ ওঠেছে। এর মাঝে প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করলেন তিনি।

এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বার বলেন, আমি কারো দ্বারা অপদস্থ বা প্রভাবিত হবো না। তা কংগ্রেস, পত্রিকার স¤পাদকীয় বোর্ড বা প্রেসিডেন্টই হন না কেন।

বারের মন্তব্যের পর তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল। বলেছেন, প্রেসিডেন্টের উচিৎ বারের কথা শোনা। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল যেহেতু বলছেন যে, এটা (ট্রাম্পের টুইট) তার কাজে বাধা সৃষ্টি করছে, তাহলে প্রেসিডেন্টের তার কথা শোনা উচিৎ।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও উপদেষ্টা রজার স্টোন। গত নভেম্বরে প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টিলিজেন্স কমিটি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। সম্প্রতি তার কারাদ- কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। প্রাথমিকভাবে তাকে সাত থেকে নয় বছরের জেল দেয়ার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রসিকিউটররা। তবে ট্রাম্প এক টুইটে এ সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত নৃশংস ও অন্যায্য’ বলে বর্ণনা করেন। তার টুইটের পর বিচার বিভাগ নিজস্ব প্রসিকিউটরদের আবেদন অগ্রাহ্য করে। এতে প্রশ্ন ওঠে, ট্রাম্পের হয়ে বিচারে বার হস্তক্ষেপ করেছিলেন কিনা। এ ঘটনায় চার জন প্রসিকিউটর পদত্যাগ করে। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বারের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তবে বার দাবি করেন, ট্রাম্প কখনোই তাকে কোনো অপরাধ মামলা নিয়ে কিছু করতে বলেননি। কিন্তু মামলাগুলো নিয়ে তার টুইটের কারণে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে জানান।

বার বলেন, নিজে যা ঠিক মনে করি সেটা নিয়ে আগাবো নাকি টুইটের জন্য পিছু হটবো? এই টুইটগুলো এতটা বাধা সৃষ্টিকারী। তিনি প্রত্যাশা করেন যে, ট্রাম্প তার কথায় সাড়া দেবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি আশা করি তিনি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন।

নতুনসময়/আইকে