ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


মেক্সিকোয় ১৭ বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার


১৭ আগস্ট ২০১৯ ১৯:২৩

মেক্সিকোর পুলিশ দেশটির উপকূলীয় রাজ্য ভারাক্রুজে একটি ট্রাকের পরিত্যক্ত ট্রেইলার থেকে ৬৫ জনকে উদ্ধার করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, হারিয়ে যাওয়া ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এই ৬৫ জন বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ জন, ভারতের ৩৬ জন এবং শ্রীলঙ্কার ১২ জন অভিবাসী রয়েছেন।

খবরে বলা হয়েছে, ফেডারেল পুলিশের এজেন্টরা পরিত্যক্ত ট্রেইলারটি খুঁজে পায়। পরে কন্টেইনার খুললে সেখানে ৬৫ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে অমানবিক পরিস্থিতিতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অনেকেই ভয়াবহ পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন।

পুলিশের তথ্য অনুসারে, এই অভিবাসীরা ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে পৌঁছার জন্য যাত্রা শুরু করেছিল। প্রথমে তারা শ্রীলঙ্কা হয়ে কাতার, এরপর তুরস্ক, কলম্বিয়া, পানামা থেকে ইকুয়েডর পৌঁছায়। এরপর গুয়াতেমালায় পৌঁছায় বাসে। পরে মেক্সিকোর ভূখণ্ডে অবতরণ করে নৌকায়। পরে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ভেরাক্রুজে তাদের ফেলে যাওয়া হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এক কর্মকর্তা বলেন, এসব দেশের অভিবাসীদের উদ্ধারের ঘটনা খুব বিরল। সাধারণত মধ্য আমেরিকা বা কিউবার নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়।

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ভেরাক্রুজে থামতে বাধ্য হয় অভিবাসীরা। এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিতে আসা মধ্য আমেরিকার নাগরিক।

উদ্ধার করা অভিবাসীদের চিকিৎসা সেবা, পানি ও খাবার দেওয়া হয়েছে এবং তাদের স্থানীয় একটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা করে দেখা হবে তারা মেক্সিকোতে থাকার উপযুক্ত কিনা।

বুধবারই মেক্সিকোর সরকার ঘোষণা দিয়েছে, গত দুই মাসের এমন পরিস্থিতিতে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে তারা উদ্ধার করেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রগামী বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মেক্সিকো। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ট্রেন, বাণিজ্যিক বাস, সেমি-ট্রাকে করে অভিবাসীদের পাচার ঠেকানোর জন্য কাজ করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেমি-ট্রাক নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। গত দুই মাসে ১৭ সেমি-ট্রাক থেকে ১ হাজার ৭০৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। আরেকটি ঘটনায় ৭৯১ জনকে পাচার করা হচ্ছিল কোনও রকম নিঃশ্বাসের ব্যবস্থা না রেখেই।

মেক্সিকো সরকারের অভিযানের ফলে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছানো অভিবাসীদের সংখ্যা কমে গেছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি ও ২১ হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যকে সীমান্তে মোতায়েনের ফলে অভিবাসীরা মানবপাচার চক্রের দ্বারস্থ হবেন। এই পাচারকারীরা আবার প্রভাবশালী মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত।